ঢাকা   শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

নাগরিকত্ব পেতে প্রতারণা, নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশির রেকর্ড সাজা

বিশেষ প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ২ আগস্ট ২০২৫

সর্বশেষ

নাগরিকত্ব পেতে প্রতারণা, নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশির রেকর্ড সাজা

ভুয়া বিয়ে, পাসপোর্ট জালিয়াতি এবং পরিচয় গোপন করে দুই যুগেরও বেশি সময় নিউজিল্যান্ডে বসবাস—এমন নানা অভিযোগে চার বছরের কারাদণ্ড হয়েছে এক বাংলাদেশির। দেশটির ইতিহাসে পাসপোর্ট জালিয়াতির মামলায় এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সাজা।

নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরএনজেড জানিয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম নামে ওই ব্যক্তি ২৫ বছর আগে ভুয়া পরিচয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেন এবং দীর্ঘদিন ‘ভাই সেজে’ বসবাস করেন।

বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ডে আসার আগে তিনি ১৯৯০-এর দশকে জাপানে ছিলেন।

পরে অকল্যান্ডে এসে ট্যাক্সি ড্রাইভারের কাজ করার সময় ভুয়া বিয়ে করে থাকার পারমিট পাওয়ার পর বিবাহবিচ্ছেদ করেন। তবে বিচ্ছেদের পেছনে তিনি কারণ দেখিয়েছেন জীবনযাপনের আলাদা ধরন তাদের আলাদা করতে বাধ্য করেছে।
তারপরও অকল্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট শুক্রবার এক রায়ে জাহাঙ্গীরকে ২৯টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেন। আদালতের ভাষায়, ‘এটি ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত ও জটিল একটি জালিয়াতি।’

বিচারক পিটার উইন্টার বলেন, ‘এ ধরনের অপরাধ শুধু সরকারি সংস্থাগুলোকেই বিভ্রান্ত করে না, এটি অভিবাসনব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ও ন্যায়ের ধারণাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে।’

আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী জাহাঙ্গীরের প্রকৃত বয়স কিংবা পুরো পরিচয় এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী জন আলম নামের এক ব্যক্তির বড় ভাই।

জাল পরিচয়ে তিনি দীর্ঘদিন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক হিসেবে বসবাস করেছেন, এমনকি সরকারি সেবা এবং সুবিধাও নিয়েছেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।


জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী তাজ পারভিন শিল্পীকেও আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছেন। স্বামীর অপরাধ সম্পর্কে জানার পরও চুপ থাকার দায়ে ৪৫ বছর বয়সী শিল্পীকে ১২ মাসের গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে তাদের ২১ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া সন্তানকে নির্দোষ বলে ঘোষণা দিয়েছেন আদালত। কারণ, ২০০৮ সালে তিনি যখন মায়ের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে যান, তখন তার বয়স ছিল মাত্র চার বছর। তিনি এ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না বলে বিচারক মন্তব্য করেন।

সর্বশেষ