ঢাকা   বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

“জনগণের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত”—সংস্কারে আস্থাশীল বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যের আহ্বান

“জনগণের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত”—সংস্কারে আস্থাশীল বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যের আহ্বান

“দেশ কোন পথে এগোবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই”—এমন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সংস্কারে বিএনপির ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার মৌলভীবাজার শহরের একটি কনভেনশন হলে জেলা বিএনপি আয়োজিত বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বক্তব্যে জাহিদ হোসেন বলেন, “আজ অনেকে সংস্কারের কথা বললেও প্রকৃত সংস্কারের জনক হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাকশালের একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে দেশে প্রথম বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়া প্রেসিডেনশিয়াল পদ্ধতি থেকে সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় রূপান্তরের মতো বড় সংস্কার এনেছেন।”

নারীশিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেও বিএনপির অবদান তুলে ধরে জাহিদ হোসেন বলেন, “জনগণের ভোটাধিকারে বিশ্বাসী বলেই বিএনপি সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করেছে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিএনপি কখনো দলীয় স্বার্থে রাজনীতি করেনি—করেছে দেশের মানুষের জন্য, জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্যসচিব আবদুর রহিম রিপন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ—জি কে গউছ, কলিম উদ্দিন, মিফতাহ সিদ্দিকী, এম নাসের রহমান, মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও অন্যান্য উপজেলা ও পৌর নেতারা।

জাহিদ হোসেন তাঁর বক্তব্যে ৩১ দফাকে বিএনপির চলমান সংস্কারধারার অংশ বলে উল্লেখ করেন। বলেন, “এটাই আমাদের রোডম্যাপ। অন্তর্বর্তী সরকারকে অনতিবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে যাতে জনগণ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।”

বক্তব্যের শেষভাগে তিনি দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে হবে যেখানে সুশাসন, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও ধর্মীয় সহনশীলতা থাকবে।” মৌলভীবাজারকে বিএনপির একটি শক্ত দুর্গ হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি ৩১ দফার পক্ষে জনসমর্থন আদায়ের দিকেও সবাইকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

তিনি বলেন, “জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।”