ঢাকা   রোববার ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

 দুর্ঘটনার দিনে নিখোঁজ চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ জিরাওয়ালার মৃত্যু নিশ্চিত

 দুর্ঘটনার দিনে নিখোঁজ চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ জিরাওয়ালার মৃত্যু নিশ্চিত

১২ জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন গুজরাটি চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ জিরাওয়ালা। সেদিনই আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। মহেশ জিরাওয়ালা ওই উড়োজাহাজের যাত্রী ছিলেন না, কিন্তু তাঁর মুঠোফোনের শেষ অবস্থান দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে শনাক্ত হওয়ায় মৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দেয়।

পুলিশ তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে এবং অজ্ঞাতনামা এক মরদেহের সঙ্গে তা মেলানো হয়। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়, পোড়া সেই মরদেহটি মহেশ জিরাওয়ালারই। প্রথমে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান, তাঁরা ভেবেছিলেন তিনি হয়তো বেঁচে আছেন। তবে দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একটি পোড়া অ্যাকটিভা স্কুটার এবং ডিএনএ পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নিশ্চিত হয়ে, তারা শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর বাস্তবতা মেনে নেন।

মহেশ জিরাওয়ালা আহমেদাবাদের নারোদার বাসিন্দা ছিলেন এবং গুজরাটি মিউজিক ভিডিও ও এইডস সচেতনতামূলক প্রকল্পের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। তিনি মহেশ জিরাওয়ালা প্রোডাকশনসের প্রধান নির্বাহী এবং ২০১৯ সালে একটি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী হেতাল, এক কন্যা ও এক পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।

এ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩১ জনের ডিএনএ শনাক্ত করা হয়েছে এবং ২১০টি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ১৫৫ জন ভারতীয়, ৩৬ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ, ১ জন কানাডীয় এবং ৯ জন স্থানীয় বাসিন্দা। শাহিবাগের বিআই মেডিকেল হোস্টেলে এয়ার ইন্ডিয়ার ওই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ২৭৯ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

(তথ্যসূত্র: এনডিটিভি)