ঢাকা   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এবার ৪ কোটি বই কম, সাশ্রয় প্রায় ২৪০ কোটি টাকা

শিক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ১২ জুন ২০২৫

এবার ৪ কোটি বই কম, সাশ্রয় প্রায় ২৪০ কোটি টাকা

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার কাজ শুরু করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। তবে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় বইয়ের সংখ্যা সাড়ে চার কোটির বেশি কমানো হয়েছে, যার ফলে খরচও কমছে প্রায় ২৪০ কোটি টাকা।

এনসিটিবি জানিয়েছে, পূর্বের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এবার অতিরিক্ত চাহিদা দিতে পারেনি। চাহিদা যাচাই-বাছাইয়ে এবার কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে, মাঠপর্যায়ে গিয়ে সরেজমিন অনুসন্ধানও চালানো হয়েছে। বিশেষ করে মাধ্যমিক স্তরে বইয়ের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। চলতি বছর যেখানে মাধ্যমিকে ছাপা হয়েছিল ৩০ কোটি ৪০ লাখ বই, সেখানে আগামী বছরের জন্য এসেছে মাত্র ২১ কোটি ৪০ লাখ বইয়ের চাহিদা—প্রায় ৯ কোটি বই কম।

এর পেছনে একটি বড় কারণ হলো—নবম-দশম শ্রেণির জন্য এবার নতুন কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণির বই ছাপা হচ্ছে না। গতবার নতুন পাঠ্যক্রমে দশম শ্রেণির জন্য অতিরিক্ত ৫ কোটি ২০ লাখ বই ছাপা হয়েছিল, যা এবার বাদ যাচ্ছে। তবে তা ছাড়াও মাধ্যমিকে ৩ কোটি ৮০ লাখ বইয়ের চাহিদা কমেছে।

প্রাথমিক পর্যায়েও এবার ৭০ লাখ বই কম লাগছে। ফলে এ পর্যায়েও খরচ কমবে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এনসিটিবির হিসাবে, নবম-দশম শ্রেণির একটি বই ছাপাতে গড়ে ৬০ টাকা খরচ হয়।

এনসিটিবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী বলেন, বইয়ের অতিরিক্ত চাহিদা দিলে সংশ্লিষ্টদের দায় নিতে হবে—এই নির্দেশনার ফলে এবার হিসাব-নিকাশে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। তাছাড়া কিছু বিষয় যেমন চারু ও কারুকলা, কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা এবং শারীরিক শিক্ষা ঐচ্ছিক হওয়ায় বইয়ের সংখ্যাও কমেছে।

গত বছর শিক্ষাবর্ষ শুরুর তিন মাস পরেও বই পৌঁছায়নি শিক্ষার্থীদের হাতে। সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এবার আগেভাগেই দরপত্র ও ছাপার কাজ শুরু করেছে এনসিটিবি। লক্ষ্যমাত্রা, নভেম্বরের মধ্যেই মাঠপর্যায়ে সব বই পৌঁছে দেওয়া। তবে বাস্তবতা কী হয়, তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে বছরের শেষ পর্যন্ত।