ঢাকা   বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে নিহত রজনীর বাড়িতে আহাজারি

স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে নিহত রজনীর বাড়িতে আহাজারি

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে বিমান দুর্ঘটনায়  মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের মেয়ে রজনী খাতুন (৩৭)। স্বজনরা অপেক্ষায় আছেন কখন নিজ জন্ম ভিটায় এসে পৌছাবে মরদেহ। রজনীর বাড়িতে এখন চলছে আহাজারি।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হলে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন রজনী। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাতেই নিজ মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে জেলার গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের বাওট গ্রামের রজনীর পিতা অবসরপ্রাপ্তরা কলেজ শিক্ষক আব্দুল হামিদের বাড়ি।

স্বজন ও স্থানীয়রা অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছেন কখন এসে পৌঁছাবে রজনীর নিথর দেহ। শেষ বারের মত একবার দেখবে তার মুখ খানি।

নিহত রজনী মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং আলমডাঙ্গার হারদী কৃষি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদের মেয়ে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরা এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। তার স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাদের একমাত্র মেয়ে ঝুমঝুম খাতুন (১২) মাইলস্টোন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

রজনী খাতুনের ভাই আশিক বলেন, দুলাভাই জহুরুল ইসলাম ঢাকায় চাকরির করতো। এ কারণে বোন রজনী খাতুনকে নিয়ে উত্তরা এলাকায় একটি বাসায় বসবাস করতেন এবং বোনের মেয়ে ঝুমঝুম খাতুন (১২) ঢাকা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো। প্রতিদিনের ন্যায় দুর্ঘটনার সময় স্কুল থেকে ঝুমঝুম খাতুনকে নিয়ে আসতে গিয়ে সেখানে অবস্থান করছিল। এমন সময় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তার বোনের মাথায় আঘাত লেগে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের বাবা আব্দুল হামিদ বলেন, আমার মেয়ে রজনী সর্বদা হাস‍্যউজ্জল একটি মেয়ে। আমার পরিবারের লোকজন শুধু নয় তার মৃত্যুর সংবাদে পুরো ইউনিয়নবাসী কাঁদছে। আর আমি ভাবছি আমার নাতনির কথা। ওর কি হবে?