
চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে মা মাছ রক্ষায় এখন থেকে ড্রোন দিয়ে নজরদারি হবে। আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার হালদা নদীর মোবারক খিল এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, হালদা নদীর মা মাছ রক্ষায় নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হবে চারটি ড্রোন। নদীর পরিবেশ রক্ষায় এবং সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে এসব ড্রোন ব্যবহার করা হবে।
রাউজান উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমীর হোসাইন বলেন, চারটি ড্রোন মৎস্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া হয়েছে হালদা এবং কর্ণফুলীর মোহনা পর্যবেক্ষণ করার জন্য। ড্রোনগুলো দিয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের ১২টি দল নদী পর্যবেক্ষণ করবে। এতে নদীতে সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ হবে। একেকটি ড্রোন সাত লাখ টাকা করে কেনা হয়েছে ঠিকাদারের মাধ্যমে।
এর আগে আজ সকালে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আগে নদীর গহিরা এলাকায় মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। এরপর স্পিডবোটে হালদা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। বেলা দুইটায় হালদার অংশীজনদের সঙ্গে মোবারক খিল এলাকায় তিনি মতবিনিময় সভা করেন।
মতবিনিময় সভায় ফরিদা আখতার হালদার প্রাকৃতিক পরিবেশ, দূষণ, ডিম সংগ্রহ ও জেলেদের নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘হালদা দেশের বড় ঐতিহ্য। এটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। তবে একা নয় সবাই মিলে।’
হালদার দূষণ প্রসঙ্গে ফরিদা আখতার বলেন, ‘যারা নদীর পরিবেশ দূষণ করে, তাঁরা নদীকে নির্যাতন করে। এটাকে আমি দূষণ বলব না। এদের নির্যাতনকারী হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। তাহলে দূষণ বন্ধ করা সহজ হবে।’
মৎস্য অধিদপ্তরের হালদা নদী উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা প্রকল্প আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন। বক্তব্য দেন সাবেক সচিব আবদুল করিম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুর রউফ, নৌ পুলিশ সুপার আ ফ ম নিজাম উদ্দিন, হালদা প্রকল্পের পরিচালক মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হালদা গবেষক মনজুরুল কিবরিয়া, মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক আনোয়ার হোসেন হালদা রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আলী।