
সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে ফের ১৪ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে পুশ-ইন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও তিনজন শিশু রয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। শনিবার দুপুরে (২১ জুন) তাদেরকে বাংলাদেশের কুশখালী সীমান্তে ঠেলে দেয় বিএসএফ।
পরবর্তীতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবি তাদের উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
পুশ-ইনে আক্রান্ত নারী, পুরুষ এবং বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন ভারতের মুম্বাই এবং কলকাতার রাজাবাজারে বাসাবাড়ি, ফ্যাক্টরি এবং দোকানে কাজ করতেন। বাংলাদেশি পরিচয় পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে দুপুর ২টার দিকে আমুদিয়া বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ তাদের কুশখালী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। এরপর বিজিবি তাদের আটক করে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করে রাতে সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করে। পুলিশ যাচাই-বাছাই শেষে পুশ-ইনে আক্রান্ত ১৪ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এদের অধিকাংশের বাড়ি ঢাকা, খুলনা, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুশ-ইনে আক্রান্ত ১৪ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে তাদের পরিচয় এবং জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই শেষে রাত ১২টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুনও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কুশখালী সীমান্ত দিয়ে ৬ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়।