
উপজেলার পাঁচতলা ভবন ও আঙিনার যেদিকেই চোখ যায়, সেদিকেই দেখা মেলে সবুজ আর সবুজের অরণ্য। অপরূপ প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য উপজেলায় আগতদের বিমোহিত করে।
এমন পরিবেশ আশপাশের কোনো উপজেলায় দেখা যায় না। উপজেলায় প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে এক অপরূপ সবুজ অরণ্য। এছাড়া, প্রায় দুই হাজার বিভিন্ন লেখকের বই নিয়ে একটি লাইব্রেরিও রয়েছে উপজেলায়। আগন্তুকরা সেখানে পাঠে ও আড্ডায় সময় কাটান। শুধু ভবনের ভেতরেই নয়, উপজেলার বাইরের বিভিন্ন স্থানজুড়েও রয়েছে নানান প্রজাতির গাছ।
উপজেলার চারপাশে সবুজ অরণ্য আর প্রকৃতি যেন তার সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কেউ একবার উপজেলায় এলে, সে সবুজের প্রেমে পড়তে বাধ্য। আর এই সব কিছুর পেছনের নায়ক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম। সবুজায়নে তিনি উপজেলা পরিষদের সব দপ্তর, আঙিনা, বারান্দা ঢেলে সাজিয়েছেন।
কায়েতপাড়ার নগরপাড়া থেকে সেবা নিতে আসা রায়হানা সুলতানা কনা বলেন, “সবুজ-শ্যামলে ভরা উপজেলায় এসে মনটা ভরে গেল। আগে যখন আসতাম, কেমন যেন মরা-মরা লাগত। আজ (রবিবার) যেন এক নতুন উপজেলা দেখলাম।”
দাউদপুর থেকে সেবা নিতে আসা হালিম মিয়া বলেন, “রূপগঞ্জ উপজেলায় গেলে এখন নয়ন জুড়িয়ে যায়। আগে এমনটা ছিল না। উপজেলার সব দপ্তর, অফিসের সামনে, বারান্দায় সবুজের সমারোহ যেন মনটা ভালো করে দেয়।”
ইউপি সদস্য মাসুম আহম্মেদ বলেন, “আসলে একটি উপজেলার মূল জায়গা, যেখানে মানুষ সেবা পায়, সেটি যদি সবুজায়নে ভরা ও মনোরম হয়, তাহলে সবারই ভালো লাগে।”
উপজেলা নির্বাচন অফিসার তাজাল্লি ইসলাম তৃষা বলেন, “সবুজে ঘেরা উপজেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভালোবাসা। আসলে এখান থেকে আর বের হতে মন চায় না। সবার একটাই স্বপ্ন—আগামীর পথচলা হোক সবুজের মতো সৌন্দর্যময় ও বিস্তৃত।”
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আইমিন সুলতানা বলেন, “আমি যখন জয়েন করি, তখনো উপজেলা এতটা সুন্দর ছিল না। এখন সৌন্দর্য মুগ্ধ করে। সবুজ অরণ্য দেখে মন ভালো হয়ে যায়। যারা সেবা নিতে আসেন, তারাও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেন।”
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, “আমি এর আগে দুই বছর এই উপজেলায় ছিলাম। তখন কোনো পরিবেশ ছিল না। এবার এসে দেখলাম, এটা একেবারে সবুজ উপজেলা হয়ে গেছে। এখন কাজ করতেও ভালো লাগে। পরিবেশটা খুব সুন্দর হয়েছে।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, “আমরা উপজেলাকে সবুজায়নের চেষ্টা করেছি। সব জায়গায়, সবক্ষেত্রে সবুজায়ন দরকার। যেভাবে আবহাওয়া উষ্ণ হচ্ছে আর তাপমাত্রা বাড়ছে, তাতে সবুজায়ন না করলে পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে।”
তিনি মনে করেন, “প্রতিটি উপজেলায় এমন সবুজায়ন থাকলে কর্মকর্তারা ও সেবা নিতে আসা লোকজনের মন সতেজ থাকবে। এতে মানুষ উদ্বুদ্ধ হবে নিজ বাড়ি, অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সবুজায়ন করার জন্য।”