ঢাকা   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী সুফল পেতে চার সুপারিশ

শেয়ারবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:১৭, ৭ জুন ২০২১

আপডেট: ১৩:১৮, ৭ জুন ২০২১

পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী সুফল পেতে চার সুপারিশ

প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেটে পুঁজিবাজারকে উজ্জীবিত করতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমানোসহ কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এসব বিষয়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। তবে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদী সুফল পাওয়ার লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রীর নিকট ৪টি বিষয়ে সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।

রোববার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রীর নিকট পাঠানো প্রস্তাবে বিএমবিএ এসব সুপারিশ করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান বলেন, বাজেটে পুঁজিবাজারকে উজ্জীবিত করতে বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেটকে সাধুবাদ জানাই। এ বাজেট বাজারকে গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে। তবে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদে সুফল পাওয়ার লক্ষ্যে চূড়ান্ত বাজেটে আরও কয়েকটি বিষয় অনুমোদন করার করার জন্য প্রস্তাব করেছি। যা দীর্ঘমেয়াদের জন্য বাজারের উপকার হবে।


পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদী সুফল পেতে বাজেটে পুর্নবিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রীর নিকট যেসব বিষয়ে প্রস্তাব জানানো হয়েছে সেগুলো মধ্যে- তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে করের পার্থক্য বাড়ানো: প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করের হার ২.৫ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে। আলোচ্য করের ব্যবধান আরও বাড়ানো হলে ভালো পারফরম্যান্সের কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহ পাবে। তাই তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান বাড়ানোর প্রস্তাব বিএমবিএ’র।

উৎস কর: লভ্যাংশের ওপর কোম্পানির উৎস কর ২০ শতাংশ কর্তন করা হয়, যা চূড়ান্ত হিসাবে গণ্য হয়। অপরদিকে লভ্যাংশের ওপর ব্যক্তির উৎস কর ১০ শতাংশ কর্তন করা হয়, যা চূড়ান্ত নয়। ব্যক্তি বিনিয়োগকারীকে পরবর্তীতে প্রযোজ্য হারে কর দিতে হয়। ফলে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কখনও কখনও কোম্পানির চেয়ে বেশি কর দিতে হয়। তাই ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের করহার ১০ শতাংশ চূড়ান্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাহলে বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবে। যা বাজারের টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করবে।

পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ: গত বছর সরকার বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে। ফলে এসব অর্থ পুঁজিবাজারে প্রবাহিত হয়েছে। যার ফলে বাজারে লেনদেন বেড়েছে। এবারও যদি সরকার পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয় তাহলে বাজারে অর্থ প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এতে বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি পাবে।

মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো করের হার হ্রাস: পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য করহার ৩০ শতাংশ। কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য করহার ৩৭.৫০ শতাংশ। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য করহার হ্রাস করে ৩০ শতাংশ করার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের অংশীদার করার প্রস্তাব দিয়েছে বিএমবিএ।

আলোচ্য প্রস্তাবগুলো বাজেটে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে পুঁজিবাজার টেকসই উন্নয়ন তরান্বিত করবে বলে মনে করছেন সংগঠনটি।

শেয়ার বিজনেস24.কম