প্রায় সাড়ে তিন বছরেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের কূলকিনারা না হলেও পুলিশের হাতে আসা একটি উড়ো চিঠি নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার দপ্তরে ডাকযোগে পাঠানো হয় ওই চিঠি। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, এক সাংবাদিক গাইবান্ধার গোবিন্ধগঞ্জের কানিপাড়া গ্রাম থেকে কয়েকজনকে ভাড়া করে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদেরকে হত্যা করার জন্য। প্রেরকের নাম হিসেবে উল্লেখ ছিল ‘জিয়াউল হক’ নামে এক ব্যক্তির, যিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের মাস্তা কানিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা; বাবার নাম খালেক ফকির। অবশ্য জিয়াউল এ চিঠি পাঠাননি দাবি করে এরই মধ্যে থানায় জিডি করেছেন। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজারের এক বাসায় খুন হন ওই সাংবাদিক দম্পতি। হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এই পর্যন্ত কয়েজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এর রহস্য এখনও অনুদ্ঘাটিত। গোয়েন্দা পুলিশের ব্যর্থতার পর এখন র্যাব এর তদন্ত করছে। গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার দপ্তরে উড়ো চিঠিটি সপ্তাহখানেক আগে পৌঁছালেও জিয়াউলের জিডির পর সাংবাদিকরা তা জানতে পারেন। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, চিঠিতে বলা হয়- সাগর-রুনিকে হত্যার জন্য গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কানিপাড়া গ্রামের বাদশা কসাইসহ ৪/৫ জনকে ভাড়া করে ঘটনার রাতে ঢাকায় নিয়ে যান রুস্তম নামে সাংবাদিক। পরে তারা সাগর-রুনিকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। চক্রটি নারায়ণগঞ্জের সাত খুনেও জড়িত ছিল বলে চিঠিতে দাবি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। অভিযুক্ত বাদশা কসাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “খুন করা তো দূরের কথা, এখন পর্যন্ত আমি ঢাকা শহর দেখিনি।” তবে অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি জাহিদুল। তিনি বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগটি সত্য নয় বলে মনে হচ্ছে। ওই দুই পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে সম্প্রতি এক দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে তৃতীয় পক্ষ এ অভিযোগ করেছে বলে মনে হচ্ছে।”