২৩ নভেম্বর ২০১৬ বুধবার, ০৫:৩৬ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
সামান্য একটা পাখির কঙ্কাল। তাও আবার সম্পূর্ণ নয়, একেবারে ঝুরঝুরে ফসিলে পরিণত হাড়গোড়। সেটি বিক্রি হলো ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩০০ পাউন্ডে!
অবশ্য এটার কারণও আছে। পাখিটা যে অধুনালুপ্ত ‘ডোডো’। ষোল শতকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মরিশাস দ্বীপ ছিল পাখিটির অভয়ারণ্য। দেখতে অনেকটা টার্কির মতো।
সম্প্রতি ব্রিটেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাউন্টি ওয়েস্ট সাসেক্সে ‘সামার্স প্লেস নিলামঘরে’ বিক্রি হলো একটি ডোডোর কঙ্কাল। নিলামে সর্বোচ্চ দাম ওঠে ২ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড। তবে ফিসহ মোট মূল্য দাঁড়ায় ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩০০ পাউন্ড।
নিলামে বিক্রিত কঙ্কালটির বর্তমান রূপ দিতে বেশ কাঠখড় পুড়িয়েছেন এক ডোডোপ্রেমী। প্রায় চার দশকের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এটি। বিভিন্ন জায়গা থেকে হাড় সংগ্রহ করে পাখিটির একটি কাঠামো দাঁড় করেছেন। তারপরও প্রায় ৯৫ শতাংশ হাড় সংগ্রহ করতে সক্ষম পেরেছেন তিনি। এই ডোডোর মাথা ও পা সংগ্রহ করা হয়েছে অক্সফোর্ড থেকে।
সারা বিশ্বের বিভিন্ন জাদুঘরে ডোডোর একই ধরনের মাত্র ১২টি পূর্ণ কঙ্কালের সংগ্রহ রয়েছে।
ধারণা করা হয়, সতেরো শতকের দিকে পাখিটির বিলুপ্তি ঘটে। ওই সময় পর্যন্ত মরিশাসের কিছু কিছু জায়গায় এর অস্তিত্ব পাওয়া যেতো।
কথিত আছে, ষোল শতকের প্রথম দশকে একজন পর্তুগিজ নাবিকের কাছে প্রথম পাখিটি দেখা যায়। কিন্তু খুব দ্রুতই মানুষ ও বিভিন্ন মাংসাসী প্রাণির শিকারে পরিণত হয়। ছোট দুটি ডানা থাকলেও অস্তিত্ব হারায় উড়তে অক্ষম এ প্রাণি। সর্বশেষ ১৬৮২ সালে পাখিটি দেখা গিয়েছিল।
ডোডো দেখতে এরকমই ছিলডোডো দেখতে এরকমই ছিল
পাখিটি টার্কির চেয়ে অনেক বড় আকৃতির ছিল, ওজন ছিল প্রায় ২৩ কেজি। গায়ের পালকের রঙ ছিল নীল-ধূসর। মাথাও ছিল বেশ বড়, লালচে খাপ লাগানো ঠোঁটের ডগাটি ছিল প্রায় ৯ ইঞ্চি লম্বা। পায়ের রঙ ছিল হলুদ।
বর্তমানে ডোডোর একটি পা ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে। কোপেনহেগেনে আছে একটি মাথা ও একটি কঙ্কাল। এছাড়া ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও মরিশাসের জাদুঘরেও কঙ্কালের বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অংশ সংরক্ষিত রয়েছে।
এদিকে মরিশাস সরকার ডোডোর যে কোনো হাড় ও অংশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।