সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) শেয়ারবাজারে দেখা গেল এক ইতিবাচক উত্থান। দিনের শুরু থেকেই সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। মাঝেমধ্যে কিছুটা ওঠানামা হলেও শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে দিন শেষ করে বাজার। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সবাই আশা করছেন, আগামী সপ্তাহেও এই সবুজ ধারা অব্যাহত থাকবে—এ প্রত্যাশায় অনেকেই শেয়ার ধরে রেখেছেন। ফলে অধিকাংশ কোম্পানির দাম বাড়লেও টাকার অঙ্কে লেনদেন কিছুটা কম হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮.৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,০২৮.১৪ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস ৬.২২ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১,০৫৬.৮৩ পয়েন্ট, আর ডিএসই-৩০ সূচক ৭.৬০ পয়েন্ট যোগ হয়ে পৌঁছেছে ১,৯৩৪.১০ পয়েন্টে।
ডিএসইতে মোট ৩৭৯টি কোম্পানির লেনদেন হয়—এর মধ্যে ১৭০টির দর বেড়েছে, ১৩৬টির কমেছে এবং ৭৩টি অপরিবর্তিত ছিল। লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৩৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৮৮ কোটি টাকা কম।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) ছিল ইতিবাচক প্রবণতা। সেখানে আজ লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকার, যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য কম। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৭টির দর বেড়েছে, ৫৩টির কমেছে এবং ৩২টি অপরিবর্তিত ছিল। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৫.৭০ পয়েন্ট বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪,০৩৭.২৫ পয়েন্টে, যা আগেরদিনের পতনের পর একটি শক্তিশালী পুনরুদ্ধার।
সপ্তাহজুড়ে চাপ কাটিয়ে সূচকের এই উত্থান বাজারে নতুন আশার সঞ্চার করেছে—আগামী সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা আরও ইতিবাচক ট্রেডিংয়ের প্রত্যাশায় রয়েছে।
























