ঢাকা   বুধবার ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

৮ প্রতিষ্ঠানের নেগেটিভ ইক্যুইটি সমন্বয়ে বাড়তি সময়

শেয়ারবাজার

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

৮ প্রতিষ্ঠানের নেগেটিভ ইক্যুইটি সমন্বয়ে বাড়তি সময়

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারবাজারের মধ্যস্থতাকারী আরও ৮ প্রতিষ্ঠানের নেগেটিভ ইক্যুইটি ও অবাস্তব (আনরিয়েলাইজড) লোকসান সামঞ্জস্য করার জন্য অতিরিক্ত সময় দিয়েছে। বাজারের বর্তমান অনিশ্চয়তা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর জমাকৃত অ্যাকশন প্ল্যান পর্যালোচনার ভিত্তিতে শর্তসাপেক্ষে এই সময় বাড়ানো হয়েছে।

গত ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৯৮৫তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়—মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সক্ষমতা ধরে রাখা এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতেই এ উদ্যোগ।

অতিরিক্ত সময় পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—
সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড, ওয়ান সিকিউরিটিজ লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সিকিউরিটিজ, বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ, আইএফআইসি সিকিউরিটিজ, এপেক্স ইনভেস্টমেন্টস, এবাসি ইনভেস্টমেন্ট এবং সোনালী ইনভেস্টমেন্ট পিএলসি।
এগুলো স্টক ব্রোকার–ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংক—দুই ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানই।

বিএসইসি জানায়, জমাকৃত অ্যাকশন প্ল্যান গভীরভাবে পর্যালোচনার পরই সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে সতর্ক করে বলা হয়েছে—নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রভিশন সংরক্ষণ ও মানদণ্ড পূরণ না করলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রক নজরদারি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।

এর আগে ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ৯৮৪তম সভায় আরও ২৮ প্রতিষ্ঠানকে একই কারণে সময় দেওয়া হয়েছিল। ফলে দুই সভায় মোট ৩৬টি প্রতিষ্ঠান এখন নেগেটিভ ইক্যুইটি ও আনরিয়েলাইজড লোকসান সমন্বয়ের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতে, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও মধ্যস্থতাকারীদের আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করতেই প্রভিশন সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক। তবে বাজারের টানা চাপ, লেনদেনের ধীরগতি ও সম্পদমূল্যের ওঠানামার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান সময়মতো মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি। তাদের সংশোধনের সুযোগ দিতেই বাড়তি সময় অনুমোদন করেছে বিএসইসি।