শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকটি কোম্পানি চলতি অর্থবছরের (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী কারও আয় বেড়েছে, আবার কেউ লোকসানের মুখে পড়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল লিমিটেড প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ৯০ পয়সা, যা আগের বছরের ৮৮ পয়সার চেয়ে সামান্য বেশি। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০৩ টাকা ৭১ পয়সা।
অন্যদিকে স্টাইলক্রাফ্ট লিমিটেড প্রথম প্রান্তিকে মাত্র ১ পয়সা ইপিএস দেখিয়েছে, যা আগের বছরের ৩ পয়সা থেকে কম। তবে নগদ অর্থপ্রবাহ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৬৩ পয়সায়।
ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড এই প্রান্তিকে লোকসান দেখিয়েছে ৯১ পয়সা প্রতি শেয়ারে, যেখানে আগের বছর ছিল ৩৮ পয়সা আয়। এনএভিপিএস ২০ টাকা ৪৬ পয়সা।
বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড প্রথম প্রান্তিকে লোকসান করেছে ৪৯ পয়সা, আগের বছর ছিল ৩ পয়সা আয়।
প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসি এর ইপিএস কমে ১২ পয়সায় দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছর ছিল ১৪ পয়সা।
শাশা ডেনিমস পিএলসি-এর আয় কমে হয়েছে ৩১ পয়সা, আগের বছর ছিল ৪০ পয়সা।
তবে কিছু কোম্পানি তুলনামূলক ভালো পারফরম্যান্স করেছে। যেমন বিডিকম অনলাইন লিমিটেড এর ইপিএস বেড়ে হয়েছে ৩৫ পয়সা (আগে ২৮ পয়সা) এবং আইটি কনসালটেন্টস পিএলসি করেছে ৯২ পয়সা, যা গত বছরের ৮১ পয়সার চেয়ে বেশি।
অন্যদিকে টেকনো ড্রাগস লিমিটেড, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পিএলসি, অ্যাডভেন্ট ফার্মা লিমিটেড ও রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড-এর আয় সামান্য কমেছে।
ফার্মা খাতের মধ্যে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি উজ্জ্বল পারফরম্যান্স দেখিয়েছে; কোম্পানিটি ১ টাকা ৭১ পয়সা ইপিএস করেছে, যা আগের বছরের ১ টাকা ২৫ পয়সা থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
অন্যদিকে আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেড, ডমিনেজ স্টিল অ্যান্ড বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড, এবং জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইস লিমিটেড লোকসানে পড়েছে। বিশেষ করে জেএমআই সিরিঞ্জের ইপিএস গত বছরের ৭৩ পয়সা থেকে নেমে এসেছে ৫০ পয়সা লোকসানে।
তবে সবার শেষে ইতিবাচক চমক দিয়েছে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড, কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৮২ পয়সা, যা আগের বছরের ১ টাকা ৭৬ পয়সার চেয়ে অনেক বেশি।
সামগ্রিকভাবে বলা যায়, এবারকার প্রথম প্রান্তিকে কিছু কোম্পানির আয়ে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি দেখা গেলেও, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মুনাফা ধরে রাখতে পারেনি। বিনিয়োগকারীদের নজর এখন দ্বিতীয় প্রান্তিকের ফলাফলের দিকে, যা বাজারে নতুন দিকনির্দেশনা দিতে পারে।























