শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ১৩ কোম্পানি। এরমধ্যে ডিভিডেন্ড কমেছে ৩টি কোম্পানির, ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৫টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৩ কোম্পানি এবং ডিভিডেন্ড দেয়নি ২টি কোম্পানি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিভিডেন্ড কমে যাওয়া কোম্পানি ৩টি হলো- বারাকা পাওয়ার, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি এবং তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন।
বারাকা পাওয়ার
বারাকা পাওয়ার ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে। আগের বছর কোম্পাটি ৩.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি প্রতি শেয়ারে আয় করেছে ৩৬ পয়সা। এর আগের বছর শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ১২ পয়সা।
অর্থবছর শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ (ক্যাশ ফ্লো) দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৩৯ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৫ পয়সা।
৩০ জুন ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির প্রতি শেয়ারের নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৬৩ পয়সা, যা আগের বছর একি সময় ছিল ২২ টাকা ৬১ পয়সা।
খুলনা পাওয়ার কোম্পানি
খুলনা পাওয়ার ৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯ পয়সা, আগের অর্থবছর ইপিএস হয়েছিল ১৫ পয়সা।
অর্থবছর শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ (ক্যাশ ফ্লো) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৩ টাকা ১০ পয়সা।
সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৩ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১৮ টাকা ৩৪ পয়সা।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন
তিতাস গ্যাস ৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর কোম্পানিটি ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৭ টাকা ৮০ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৭ টাকা ৫২ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ (ক্যাশ ফ্লো) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১৭ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৫ টাকা ৫৩ পয়সা।
সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকা ১৩ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৯৮ টাকা ১৫ পয়সা ।
ডিভিডেন্ড অপরিবর্তিত থাকা কোম্পানি ৩টি হলো- বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, ডরিন পাওয়ার এবং এমজেএল বাংলাদেশ।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার ৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর কোম্পাটি ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা, আগের অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ৪০ পয়সা।
সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ (ক্যাশ ফ্লো) দাঁড়িয়েছে মাইনাস ৯ টাকা ৫ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৩ টাকা ৮৫ পয়সা।
৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৭২ পয়স, যা আগের বছর ছিল ২৬ টাকা ৫৭ পয়সা।
ডরিন পাওয়ার
ডরিন পাওয়ার ৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর কোম্পাটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১৯ পয়সা, আগের অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা।
৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৪৩ পয়সা, আগের অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ৪৯ টাকা ৫৭ পয়সা।
আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ (ক্যাশ ফ্লো) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭৮ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২০ টাকা ৩ পয়সা।
এমজেএল বাংলাদেশ
এমজেএল বাংলাদেশ ৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৫২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর কোম্পাটি ৫২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৩৬ পয়সা, আগের অর্থবছর ইপিএস হয়েছিল ৮ টাকা ৭১ পয়সা।
সমাপ্ত অর্থবছর শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ (ক্যাশ ফ্লো) দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৬৭ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১৪ টাকা ৭৯ পয়সা।
৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৬ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৪৮ টাকা ৩ পয়সা।
























