সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) দেশের শেয়ারবাজার বড় ধরনের পতন প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ করেছে। দিনশেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪২ পয়েন্ট কমেছে। তবে বাজারের এই সার্বিক নিম্নমুখী প্রবণতার মাঝেও সাতটি কোম্পানির শেয়ারে ছিল বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ।
এই সাতটি কোম্পানির শেয়ারে টানা ক্রয়চাপের কারণে লেনদেনের প্রায় শুরু থেকেই বিক্রেতা সংকট দেখা যায়। ফলস্বরূপ, শেয়ারগুলো সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে ‘হল্টেড’ হয়ে যায়। অর্থাৎ, দাম সর্বোচ্চ সীমায় বেড়ে লেনদেন স্থবির হয়ে যায়।
সর্বোচ্চ দামে হল্টেড হওয়া কোম্পানিগুলো হলো—ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, প্রিমিয়ার লিজিং, মুন্নু সিরামিক, মুন্নু ফেব্রিক্স, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ভিএফএস থ্রেড ডাইং এবং মুন্নু এগ্রো। এই সাতটির মধ্যে মুন্নু গ্রুপের তিনটি কোম্পানি—মুন্নু সিরামিক, মুন্নু ফেব্রিক্স এবং মুন্নু এগ্রো—বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
তালিকার শীর্ষে থাকা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও প্রিমিয়ার লিজিংয়ের দর ১০ শতাংশ বেড়েছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের শেয়ার মূল্য ১ টাকা ১০ পয়সা এবং প্রিমিয়ার লিজিংয়ের মূল্য ৯৯ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, মুন্নু সিরামিকের দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের ৮.৭৭ শতাংশ এবং মুন্নু এগ্রোর ৮.৭৫ শতাংশ। এছাড়াও ফার্স্ট ফাইন্যান্সের দর ৯.০৯ শতাংশ এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের দর ৮.৯১ শতাংশ বেড়েছে।
বাজারের পতনের দিনেও এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বৃদ্ধিকে বিনিয়োগকারীরা ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে মুন্নু গ্রুপের শেয়ারে ধারাবাহিক এই আগ্রহ বাজারে নতুন জল্পনা-কল্পনা তৈরি করেছে। কারণ, কোম্পানি তিনটির চেয়ারম্যান আফরোজা খানম রিতা মানিকগঞ্জ থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন।
বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, রাজনৈতিকভাবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে গেলে কোম্পানিগুলোর ভবিষ্যতে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও নীতিনির্ধারণী সুবিধা পেতে সহায়ক হতে পারে, যা কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে প্রভাব ফেলবে। এই প্রত্যাশাই শেয়ারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রেতা সংকটে পড়ে শেয়ারগুলোর লেনদেন হল্টেড হয়ে যায়।
























