
গত ৫ কর্মদিবসের ধারাবাহিক পতনের পেছনে বড় বিনিয়োগকারীদের সরাসরি প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের পর, কিছু বড় বিনিয়োগকারী শেয়ারের দর প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন, যার কারণে সূচক হঠাৎ চাপে পড়ে। তবে এই পতনের মধ্যেও সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) শেয়ারবাজারে কিছুটা উত্থানের ঝলকানি দেখা গেছে।
বিনিয়োগকারীরা গত ৫ কার্যদিবসে সূচক কমে ২৪৫ পয়েন্ট লক্ষ্য করেছেন। একই সময়ে লেনদেন কমে সাড়ে ৭০০ কোটি থেকে ৫০০ কোটির ঘরে নেমেছে এবং বাজার থেকে মূলধন উধাও হয়েছে ১৫ হাজার ৭৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সূচকে বড় উত্থান দেখা গেলেও, টাকার অংকে লেনদেন কিছুটা কম ছিল। তবুও, লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রত্যাশা তৈরি করেছে।
সোমবারের বাজার পর্যালোচনা
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫.২৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২২৭.৭৫ পয়েন্টে। অন্য সূচক ডিএসইএস ২.৯৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১১৭.৭৪ পয়েন্টে, আর ডিএসই-৩০ সূচক ১১.৪৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৯.৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে মোট ৪০০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ২৩০টির দর বেড়েছে, ১২০টির দর কমেছে এবং ৫০টির দর অপরিবর্তিত। মোট লেনদেন হয়েছে ৫৩০ কোটি টাকা, যা আগের দিনের ৫৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার তুলনায় ১২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা কম।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ১৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন লেনদেন ছিল ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আজ সিএসইতে ১৭২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮টির দর বেড়েছে, ৮১টির দর কমেছে এবং ২৩টির দর অপরিবর্তিত।
সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৮.৫৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭২৩.৭৮ পয়েন্টে, যেখানে আগেরদিন সূচক ১৮৫.২৭ পয়েন্ট কমেছিল।