
একীভূত প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের শেয়ারধারীরা এখন উদ্বিগ্ন। ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ কীভাবে রক্ষা হবে, তা নিয়ে শেয়ারবাজারে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাজার পতনের মধ্যেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
বিএসইসি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি লিখে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর বর্তমান দায় ও সম্পদের পাশাপাশি শাখা নেটওয়ার্ক, গ্রাহক সংখ্যা, ব্র্যান্ড ভ্যালু ও দায়ী ব্যক্তিদের সম্পদ বিবেচনা করে শেয়ারধারীদের জন্য ন্যায্য বিনিয়োগ ফেরত নিশ্চিত করতে হবে।
সরকার এই পাঁচ ব্যাংককে একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। প্রাথমিক অনুমোদিত মূলধন ৪০ হাজার কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা সরকার প্রদান করবে, অর্ধেক নগদ এবং অর্ধেক সুকুক বন্ডের মাধ্যমে। তবে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্যাকেজ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
শেয়ারবাজারে ইতিমধ্যেই প্রভাব পড়েছে। রোববার ডিএসইতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম ৭ থেকে ৮.৫ শতাংশ কমেছে। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকের শেয়ারও দরপতনের মুখে।
বিনিয়োগকারীদের করণীয়:
-
শেয়ার বিক্রির আগে সতর্ক হোন: বাজারমূল্য ফেসভ্যালুর চেয়ে কম হলেও স্থিতিশীলতা ও সরকারের পদক্ষেপের দিকে লক্ষ্য রাখুন।
-
বিনিয়োগ নথি সংরক্ষণ করুন: শেয়ারহোল্ডার আইডি, লেনদেনের প্রমাণ ও ডকুমেন্ট রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
-
ব্রোকার বা বিনিয়োগ উপদেষ্টার পরামর্শ নিন: একীভূতকরণের অগ্রগতি ও সম্ভাব্য প্যাকেজ সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করুন।
-
বিএসইসির পরামর্শ অনুসরণ করুন: সরকারী ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঘোষণার সাথে নিজস্ব সিদ্ধান্ত মিলিয়ে নিন।
বিএসইসি জানিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। একীভূতকরণের আগে এ বিষয়ে পরামর্শ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে, যাতে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বজায় থাকে।