
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সঞ্চয়পত্রে নির্ভরতা কমাতে ধাপে ধাপে সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, উচ্চ সুদের চাপ কমাতে ২০২৬ সাল নাগাদ আরও সুদহার হ্রাস করা হবে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো, তবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের সর্বোচ্চ সুদ ১১.৯৮% এবং সর্বনিম্ন ৯.৭২%। বাজেট ঘাটতি মেটাতে দীর্ঘদিন ধরেই সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির ওপর নির্ভর করলেও এখন তা নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, "সরকার এখন ট্রেজারি বন্ড ও বিলের মতো বাজারভিত্তিক উপায়কে গুরুত্ব দিচ্ছে।"
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার বলেন, “মূল্যস্ফীতি কমে আসায় সঞ্চয়পত্রের সুদ হার কমানো যৌক্তিক।” অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিকল্প নিরাপদ বিনিয়োগ ব্যবস্থার অভাবে অনেক পরিবার অর্থনৈতিক চাপে পড়তে পারে।
বিআইবিএম-এর সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী মন্তব্য করেন, “সঞ্চয়পত্রে এককভাবে ভরসা করার দিন শেষ। এখন বিকল্প বিনিয়োগ নিয়ে ভাবার সময়।” তিনি জানান, এ বিষয়ে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকও উদ্বেগ জানিয়েছে।
গত অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নিট বিক্রি ঋণাত্মক—প্রায় ৬,০৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ, সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে আয় করার চেয়ে বেশি ব্যয় করেছে সুদ ও আসল পরিশোধে।