ঢাকা   শনিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২

পুঁজিবাজারে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত: ডিএসই-বিএপিএলসি’র ঐতিহাসিক বৈঠক

পুঁজিবাজারে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত: ডিএসই-বিএপিএলসি’র ঐতিহাসিক বৈঠক

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৭ সেপ্টেম্বর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিক লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি)-এর নির্বাহী কমিটির মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন বিএপিএলসি’র প্রেসিডেন্ট রূপালি হক চৌধুরী।

ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম এ বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বৃহৎ সংগঠন বিএপিএলসি’র সঙ্গে এটি ডিএসই’র প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অবহেলায় পুঁজিবাজার পিছিয়ে পড়লেও এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। সরকারের পক্ষ থেকে ড. আনিসুজ্জামানকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া, বাজেটে ইতিবাচক পদক্ষেপ ও বিএসইসি’র কার্যকর উদ্যোগ বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনছে। তিনি জানান, আইপিও প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং লিস্টিং-পরবর্তী কমপ্লায়েন্স সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে ডিএসই সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।

অন্যদিকে, বিএপিএলসি’র প্রেসিডেন্ট রূপালি হক চৌধুরী বলেন, বাজারের স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে তাদের সংগঠন সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি মনে করেন, সমস্যা নয়, সমাধানমুখী আলোচনার মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে বড় করা সম্ভব। নতুন আইডিয়া ও বিজনেস প্ল্যানকে পুঁজিবাজারে আনা এবং বিদ্যমান তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কমপ্লায়েন্স সহজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বৈঠকে উভয় পক্ষ পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে—

  • লিস্টিং প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা

  • কমপ্লায়েন্স ও সুশাসন কাঠামো

  • কর কাঠামোর সংস্কার

  • আইপিও প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা ও যথাযথ মূল্যায়ন

  • গ্রিন চ্যানেলের প্রবর্তন

  • কোম্পানির স্বচ্ছতা ও মনিটরিং জোরদার

  • ডিজিটাল রিপোর্টিং সিস্টেম প্রবর্তন

  • অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিশেষ সুবিধা রোধ

পরিশেষে ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, “ভালো উদ্যোক্তারা যদি সঠিক প্রাইসিং পান, তারা পুঁজিবাজারে আসবেন। আন্ডাররাইটার চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স হিসেবে কাজ করবে। গ্রিন চ্যানেল ও ডিজিটাইজেশন আইপিও দ্রুত অনুমোদনে সহায়তা করবে। যৌথ সহযোগিতা দেশের পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে।”

উভয় পক্ষ একমত হয় যে, সমন্বিত প্রচেষ্টা ও গঠনমূলক সহযোগিতার মাধ্যমেই একটি শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও টেকসই পুঁজিবাজার গড়ে তোলা সম্ভব।