ঢাকা   শুক্রবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২

জ্বালানি খাতে ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১৩ কোম্পানির,কমেছে ৭ টির

জ্বালানি খাতে ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১৩ কোম্পানির,কমেছে ৭ টির

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) বা ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১৩টি কোম্পানির। বিপরীতে কমেছে ৭টি কোম্পানির। তিনটি কোম্পানি ক্যাশ ফ্লো প্রকাশ করেনি। 

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ক্যাশ ফ্লো বৃদ্ধি পাওয়া ১৩টি কোম্পানি হলো- বারাকা পাওয়ার, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স, যমুনা অয়েল কোম্পানি, লুব-রেফ বাংলাদেশ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পদ্মা অয়েল, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি,সামিট পাওয়ার,তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন ও ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।

বারাকা পাওয়ার

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৬৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৩ টাকা ০৭ পয়সা।

বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৪৮ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৭৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৩ টাকা ৭ পয়সা।

সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৬৯ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ১৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৫ টাকা ৫১ পয়সা।

ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৯৮ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৯৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৬ টাকা ৯৯ পয়সা।

ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৭১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৫৬ টাকা ৯৭ পয়সা।

যমুনা অয়েল কোম্পানি

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৮৮ টাকা ২৬ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১৬ টাকা ৬৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৭১ টাকা ৬ পয়সা।

লুব-রেফ বাংলাদেশ

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৫২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৮ পয়সা।

মেঘনা পেট্রোলিয়াম

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৪৯ টাকা ৩১ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১৪ টাকা ৩৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১৩৪ টাকা ৯৬ পয়সা।

পদ্মা অয়েল

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ২১ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৩ টাকা ০৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২৪ টাকা ১৩ পয়সা।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৪৭ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৯ টাকা ৮৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৫ টাকা ৬৩ পয়সা।

সামিট পাওয়ার

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ২৩ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৭ টাকা ০৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১৮ পয়সা।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ০২ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৩ টাকা ৩১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১০ টাকা ৭১ পয়সা।

ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ১৭ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৭ টাকা ৬৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৭ টাকা ৫২ পয়সা।

জ্বালানি খাতে ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৭ কোম্পানির

 শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) বা ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৭টি কোম্পানির। বিপরীতে বেড়েছে ১৩টি কোম্পানির। তিনটি কোম্পানি ক্যাশ ফ্লো প্রকাশ করেনি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ক্যাশ ফ্লো কমার ৭টি কোম্পানি হলো- ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন, জিবিবি পাওয়ার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, এমজেএল বাংলাদেশ, শাহজিবাজার পাওয়ার।

ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ২৮ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২৪ টাকা ৯৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ১৩ টাকা ৬৯ পয়সা।

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ০৯ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৮৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ১ টাকা ৮ পয়সা।

জিবিবি পাওয়ার

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৪ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৩ টাকা ০৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ২ টাকা ৯৪ পয়সা।

ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫১ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৯৩ পয়সা।

খুলনা পাওয়ার কোম্পানি

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৮১ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ২ টাকা ৪ পয়সা।

এমজেএল বাংলাদেশ

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২৯ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৮ টাকা ০৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৭ টাকা ৭৫ পয়সা।

শাহজিবাজার পাওয়ার

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৯৯ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৯ টাকা ৩২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৭ টাকা ৩৩ পয়সা।