
শেয়ারবাজারের ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কোয়েস্ট বিডিসি (সাবেক পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার)-এর কার্যক্রমে বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বিএসইসি গঠিত তদন্ত কমিটি।
তদন্তে দেখা গেছে, ২০২১ সালে তৎকালীন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলাম-এর যোগসাজশে এলআর গ্লোবালের ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের টাকা ব্যবহার করে পদ্মা প্রিন্টার্সের ৫১ শতাংশ শেয়ার বাজার দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে কেনা হয়। পরে কোম্পানির পরিচালনায় এলআর গ্লোবালের কর্মকর্তাদের বসানো হয়।
প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে—
-
শিবলী রুবাইয়াত ও রিয়াজ ইসলামকে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা।
-
এলআর গ্লোবালের নিবন্ধন বাতিল ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঠানো।
-
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ন্যূনতম ১ কোটি টাকা জরিমানা ও ফৌজদারি মামলা করা।
-
এলআর গ্লোবালের অধীনে থাকা মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর নিয়ন্ত্রণ অবিলম্বে বিজিআইসি-কে হস্তান্তর করে ফরেনসিক অডিট করা।
তদন্ত কমিটি আরও জানায়, কোয়েস্ট বিডিসির পরিচালনা পর্ষদ উচ্চমূল্যে শেয়ার কেনা, অবৈধভাবে তহবিল ব্যবহার, অনুমোদনবিহীন ব্যবসা পরিচালনা, ঘুষ ও মানি লন্ডারিংয়ের মতো গুরুতর অনিয়ম করেছে।
বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, “তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কিছু ব্যবস্থা ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। আরও কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন।”
অন্যদিকে, কোয়েস্ট বিডিসির চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান সোহাগ দাবি করেছেন, তিনি কেবল সম্মানসূচক চেয়ারম্যান, কোম্পানির দৈনন্দিন কার্যক্রমে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।