
শেয়ারবাজারকে আরও গতিশীল ও গভীর করতে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দেশি ও বিদেশি বৃহৎ কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে এবার আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এর অংশ হিসেবে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্তির আওতায় আনার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৯৭১তম কমিশন সভায় এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১১ মে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দেশি-বিদেশি বড় কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশনার আলোকে এবার শক্তিশালী আইনগত কাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।
সংস্থাটির মতে, অনেক প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় শেয়ারবাজারে আসতে আগ্রহ দেখায় না। তাই আইনের মাধ্যমে বাধ্যবাধকতা তৈরি করলে প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত হতে বাধ্য হবে। বিশ্বজুড়ে অনেক দেশেই এরকম আইনগত কাঠামো কার্যকর রয়েছে।
বর্তমান ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন (এফআরএ) অনুযায়ী, ‘জনস্বার্থ সংস্থা’ বলতে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিএসইসিতে প্রতিবেদন জমাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা এবং নির্দিষ্ট সীমার বেশি সম্পদ, রাজস্ব বা দায়সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়।
এফআরসির মানদণ্ড অনুযায়ী— বার্ষিক রাজস্ব ৫০ কোটি টাকা, মোট সম্পদ ৩০ কোটি টাকা এবং মোট দায় ১০ কোটি টাকার মধ্যে যেকোনো দুটি শর্ত পূরণ করলেই কোনো প্রতিষ্ঠানকে জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে ধরা হবে। এছাড়া সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত।