
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১০ কোটি ৮০ লাখ টাকা লোকসানের মুখে পড়েছে। এ সময়ে তাদের রাজস্ব আয় ৫৮ শতাংশ কমে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। শতভাগ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় এক সপ্তাহের জন্য কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। কারণ সাবেক এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার জেরে তাদের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ হয়ে যায়।
ফলে বিদেশি ক্রেতারা বিপুল পরিমাণ অর্ডার বাতিল করে, যা রাজস্ব আয় ধস নামায় এবং লাভ থেকে লোকসানে ফেলে প্রতিষ্ঠানটিকে। কোম্পানি সূত্র জানায়, বর্তমানে উৎপাদন পুনরায় শুরু হয়েছে এবং হারানো অর্ডার পুনরুদ্ধারে কাজ চলছে, যা ধীরে ধীরে ইতিবাচক ফল দিচ্ছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে কোম্পানির রাজস্ব কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকায়, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
এ সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৩১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি ৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লাভ করেছিল এবং শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৮৭ পয়সা। আলোচ্য সময়ে শেয়ারপ্রতি পরিচালন নগদ প্রবাহও (এনওসিএফপিএস) নেমে গেছে ঋণাত্মক ৭৩ পয়সায়, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৯৮ পয়সা ধনাত্মক।
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) রাজস্ব প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে ১১ কোটি ২০ লাখ টাকায়, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা লোকসান করেছে, শেয়ারপ্রতি লোকসান ৭৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে তাদের লাভ ছিল ৩ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ইপিএস ৩৬ পয়সা।
অভিহিত মূল্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে এসকে ট্রিমস শেয়ারবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করেছিল।
২০১৪ সালে কার্যক্রম শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের জন্য সেলাই সুতা, ইলাস্টিক, পলি, কার্টন, ফটো কার্ড, ব্যাক বোর্ড, বারকোড এবং অন্যান্য উপকরণ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ছিল ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং শেয়ারহোল্ডারদের ১.৭৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়। ওই বছর ইপিএস হয়েছিল ৫৪ পয়সা।