
গতকাল ৬ আগস্ট (বুধবার), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে “ব্যাংক ও এনবিএফআই-এর জন্য ডিএসই তালিকাভুক্তি বিধিমালা অনুসারে বন্ধক রাখা শেয়ার বাজেয়াপ্তকরণ” শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। হাইব্রিড (অনলাইন ও অফলাইন) পদ্ধতিতে আয়োজিত এই কর্মশালায় মূলত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—সিকিউরিটিজ বন্ধক, অবমুক্তকরণ ও বাজেয়াপ্তকরণ—নিয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএসই’র পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, “শুধু আইন জানলেই হবে না, নৈতিকতার অনুশীলনও জরুরি। তাহলেই আমরা একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার গড়তে পারবো।” তিনি আরও বলেন, শেয়ার বন্ধক রাখা, ঋণ প্রদান, এবং বাজেয়াপ্তকরণের ক্ষেত্রে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য নিয়মনীতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেশাগত কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালার শুরুতে ডিএসই’র প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, এফসিএস বলেন, “এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নিয়মিত আয়োজন করা হবে। অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকায় এর উপকারভোগী সংখ্যা আরও বাড়বে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিএসই ট্রেনিং একাডেমির উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আল আমিন রহমান, লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঃ রবিউল ইসলাম এবং সিডিবিএল-এর মহাব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী।
বক্তারা তাদের আলোচনায় তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার বন্ধক ও বাজেয়াপ্ত সংক্রান্ত আইন, ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া, সিডিবিএল বাইলজ, এবং ডিপি অপারেশনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
ডিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কর্মশালার তথ্য গণমাধ্যমে জানান।