
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড শ্রম আইন, বীমা আইন এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে একাধিক নিয়ম লঙ্ঘনের মাধ্যমে কর্মীদের অধিকার ক্ষুন্ন করছে। কোম্পানির ২০২৪ সালের সর্বশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এসব অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে।
২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ী, সব কোম্পানির জন্য ‘ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড’ (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা বাধ্যতামূলক, যা সংশ্লিষ্ট অর্থবছর শেষে ৯ মাসের মধ্যে কর্মীদের মধ্যে বণ্টন করতে হয়। কিন্তু মেঘনা ইন্স্যুরেন্স এ আইন অনুসরণ না করে দীর্ঘদিন ধরে কর্মীদের প্রাপ্য ফান্ড সরবরাহ থেকে বিরত রয়েছে।
কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আর্থিক খাতে এই আইন কার্যকর না করার বিষয়ে তারা শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন থেকেও অনুরূপ আবেদন জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত শ্রম মন্ত্রণালয় বীমা খাতকে এ আইন থেকে অব্যাহতি দেয়নি। তবুও কোম্পানিটি আইন অনুযায়ী কোনো ফান্ড গঠন করেনি।
২০০৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের কাছে প্রায় ৪২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার আয়কর দাবি করেছে। এই দাবির বিরোধিতা করে কোম্পানিটি উচ্চ আদালতে মামলা করেছে, যা বর্তমানে বিচারাধীন।
বীমা কোম্পানি আইন ২০১০ অনুযায়ী, একটি নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের যৌথভাবে ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করা বাধ্যতামূলক। বিএসইসি-র সর্বনিম্ন শেয়ার ধারণ নির্দেশনা অনুযায়ী এই হার হতে হবে অন্তত ৩০ শতাংশ। অথচ মেঘনা ইন্স্যুরেন্সে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের হাতে রয়েছে মাত্র ২৯.২৫ শতাংশ শেয়ার।
মেঘনা ইন্স্যুরেন্স ২০২২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন বর্তমানে ৪০ কোটি টাকা।