ঢাকা   বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

ভলিউম লিডারে চমক, জায়গা করে নিল দুই শক্ত মৌলভিত্তির শেয়ার

ভলিউম লিডারে চমক, জায়গা করে নিল দুই শক্ত মৌলভিত্তির শেয়ার

সাম্প্রতিক লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে ব্যাংক খাতের দুই শক্তিশালী ও মৌলভিত্তির কোম্পানি—সিটি ব্যাংক এবং ইস্টার্ন ব্যাংক (ইবিএল)। চলতি বছরে এই প্রথম কোম্পানি দুটির শেয়ারে এমন রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন লক্ষ্য করা গেছে, যা বাজারের জন্য একটি অত্যন্ত ইতিবাচক ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

লেনদেনে দ্বিতীয় সিটি ব্যাংক

আজকের বাজারে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে সিটি ব্যাংক। কোম্পানিটির শেয়ার দর খুব বেশি না বাড়লেও, লেনদেনের পরিমাণ ছিল চোখে পড়ার মতো। আজ সিটি ব্যাংকের মোট ৯৩ লাখ ১৭ হাজার ১৯৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এটি চলতি বছরের মধ্যে সিটি ব্যাংকের সর্বোচ্চ একক দিনের লেনদেন। ডিএসই'র লেনদেন তালিকায় কোম্পানিটি আজ দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। দিন শেষে সিটি ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৮০ পয়সা বা ৩.৬৯ শতাংশ। উল্লেখ্য, সিটি ব্যাংক সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ১২.৫০ শতাংশ ক্যাশ এবং ১২.৫০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

লেনদেনে নবম ইস্টার্ন ব্যাংকঅন্যদিকে, দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষাকৃত স্থির থাকার পর আজ প্রাণবন্ত দেখা গেছে ইস্টার্ন ব্যাংক (ইবিএল)-এর শেয়ারও। আজ কোম্পানিটির ৪৯ লাখ ৪১ হাজার ৮০২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজারমূল্য ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এটিও ইস্টার্ন ব্যাংকের চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন। ডিএসই'র তালিকায় ইস্টার্ন ব্যাংক আজ নবম অবস্থানে ছিল। ইস্টার্ন ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৩০ পয়সা বা ১.২১ শতাংশ। কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ এবং ১৭.৫০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড প্রদান করেছে।


বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই দুই মৌলভিত্তি সম্পন্ন ব্যাংকের এমন রেকর্ড লেনদেন বাজারে আস্থা ফেরার স্পষ্ট ইঙ্গিত। তাদের মতে, দীর্ঘ সময় পর এই ধরনের কোম্পানিতে উচ্চ লেনদেন হওয়ার অর্থ হলো বিনিয়োগকারীরা এখন গুজবের পেছনে না ছুটে বা অনির্ভরযোগ্য কোম্পানি থেকে সরে এসে মৌলভিত্তি-সম্পন্ন এবং স্থিতিশীল কোম্পানির দিকে ঝুঁকছেন। এই প্রবণতা বাজারের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।