ঢাকা   মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

আইপিও নিয়ে আশার খবর দিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান

আইপিও নিয়ে আশার খবর দিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান

শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন ধরেই প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) নিয়ে ভোগান্তি ও দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ রয়েছে। তবে এই সমস্যার সমাধানে আশার আলো দেখিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, আগামি দিনে ৬ মাসের কম সময়েই আইপিও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) আয়োজিত ‘ক্যাপিটাল মার্কেটের সম্প্রসারণ : টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য একটি কাঠামো’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএমবিএ সভাপতি মাজেদা খাতুন।


ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন,“গত এক বছরে কোনো আইপিও আসেনি। এটা বিএসইসির একক দায়িত্ব নয়। মার্চেন্ট ব্যাংকারদেরই মূল দায়িত্ব এই প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নেওয়ার।”

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইতোমধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে লিস্টিংয়ের দায়িত্ব হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে আইপিও প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মমিনুল ইসলাম বলেন,“গত ১৫ বছরে ৬৬টি মার্চেন্ট ব্যাংক মিলে ১৩৮টি কোম্পানি শেয়ারবাজারে এনেছে। কিন্তু এই সংখ্যার তুলনায় গুণগত মান ও বাজারে তাদের প্রভাব প্রশ্নবিদ্ধ।”তিনি স্বীকার করেন, সব কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়বে, এটা আশা করাও ঠিক নয়।

তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন,“পুঁজিবাদের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার হচ্ছে শেয়ারবাজার। গত ১৫ বছরে আমাদের শেয়ারবাজারে অনেক অনিয়ম হয়েছে। এখন সেই অনিয়ম দূর করার প্রক্রিয়া চলছে, তবে তাৎক্ষণিক সমাধান নয়—সময় লাগবে।”

আলোচনায় অংশ নিয়ে এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন,“বাংলাদেশে একটি আইপিও অনুমোদন পেতে ২-৩ বছর সময় লাগে, যেখানে ভারতে একই প্রক্রিয়া মাত্র ৬ মাসে সম্পন্ন হয়। আমাদের এখানেও এই প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করতে হবে।”Online stock trading

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার অর্থ-বিষয়ক বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানসহ আরও অনেকে।

তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ কমিশন সভায় যোগদানের কারণে মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি।