
টানা পাঁচ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১.৩৮ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৩৮.৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এই সামান্য পতনের মধ্যেও চমক দেখিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। যার অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণে শেয়ারবাজারে আজ বড় ধরনের পতন এড়ানো সম্ভব হয়েছে। ডিএসই'র বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ব্যাংকটি একাই সূচকে প্রায় ২১ পয়েন্ট যোগ করেছে।
জানা যায়, আজ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর ৩ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯.৭৬ শতাংশ বেড়ে ৪০ টাকা ৫০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। এটি গত এক মাসের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর। এই বিপুল চাহিদার কারণে এদিন ডিএসইতে কোম্পানিটি বিক্রেতা সংকটে পড়ে হল্টেড হয়েছে। দিনের লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৪০ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে। দিন শেষে, ইসলামী ব্যাংকের মোট ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৬৪৪টি শেয়ার ৬ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে, যা একক কোম্পানি হিসেবে বাজারের অস্থিরতার মধ্যে এক দারুণ ইতিবাচক বার্তা নিয়ে এসেছে।
আগেরদিন রোববারও ইসলামী ব্যাংক শেয়ারবাজারে ত্রাণকর্তা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল। রোববারও কোম্পানিটি ডিএসইর সূচকে ২০ পয়েন্ট যোগ করেছিল। এদিন ডিসএসইর সূচক বেড়েছিল ৭ পয়েন্ট। অর্থাৎ রোববার যদি ইসলামী ব্যাংকের দাম না বাড়তো, তাহলে ডিএসইর সূচকের পতন হতো ১৫ পয়েন্ট।
১৯৮৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ২ হাজার কোটি টাকা ও ১ হাজার ৬০৯ কোটি ৯৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৫ হাজার ৬৭৪ কোটি ৭ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, ইসলামী ব্যাংক ২০১৭ সালের আগে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশের বেশি ডিভিডেন্ড প্রদান করলেও, ২০১৭ সাল থেকে তারা প্রতি বছর নিয়মিতভাবে ১০ শতাংশ নগদ ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছে। তবে, সর্বশেষ ২০২৪ সালের জন্য ব্যাংকটি এখনও কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে তিন মাসের সময় চেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইসলামী ব্যাংকিং খাতের এই শীর্ষ ব্যাংকটি এস আলম গ্রুপের প্রভাবের কারণে আর্থিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ব্যাংকটির মোট ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে মাত্র ০.১৮ শতাংশ। বাকি শেয়ারের একটি বড় অংশ ৭৪.৮২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের দখলে, ১৭.৮৯ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এবং ৭.১১ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।