ঢাকা   রোববার ২২ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

রেনাটার ৩২৫ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুতে বড় পরিবর্তন: ঋণ কমাতে বাধ্যতামূলক রূপান্তরের পথে কোম্পানি!

শেয়ারবাজার

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫০, ২১ জুন ২০২৫

রেনাটার ৩২৫ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুতে বড় পরিবর্তন: ঋণ কমাতে বাধ্যতামূলক রূপান্তরের পথে কোম্পানি!

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মৌলভিত্তির কোম্পানি রেনেটা লিমিটেড ৩২৫ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর শর্তে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। ব্যাংক ঋণ কমাতে এবং কোম্পানির ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে এ ইস্যুর মাধ্যমে এখন থেকে মেয়াদ শেষে প্রেফারেন্স শেয়ারগুলো বাধ্যতামূলকভাবে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরিত হবে, যা আগে ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাধীন ছিল।

কোম্পানি জানিয়েছে, প্রথমে প্রেফারেন্স শেয়ারের বৈশিষ্ট্য ছিল নন-কিউমিউলেটিভ, নন-পার্টিসিপেটিভ, রিডিমেবল বা সম্পূর্ণ রূপান্তরযোগ্য—অর্থাৎ কোম্পানি ইচ্ছেমতো শেয়ার ফেরত কিনে নিতে বা সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করতে পারত।

কিন্তু নতুন শর্তে কোম্পানির পর্ষদ রিডিমেবল (ফেরতযোগ্য) সুবিধাটি বাদ দিয়েছে, ফলে মেয়াদপূর্তিতে প্রেফারেন্স শেয়ারগুলো পুরোপুরি সাধারণ ইক্যুইটিতে রূপান্তরিত হবে।

উল্লেখ্য, এই ইস্যুর পরিকল্পনা গত বছরের নভেম্বরে গৃহীত হয় এবং জানুয়ারির ইজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন পায়। পরবর্তী ধাপে ১৯ জুন অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় শর্ত পরিবর্তনের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং এটি এখন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

প্রেফারেন্স শেয়ার মূলত এক ধরনের ইক্যুইটি বিনিয়োগ, যা ঋণ এবং সাধারণ ইক্যুইটির মিশ্র বৈশিষ্ট্য বহন করে। নতুন শর্ত অনুযায়ী, ১০ টাকা মূল্যের ছয় বছরের মেয়াদি শেয়ারগুলো শুধু বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ইস্যু করা হবে। অবিক্রিত অংশ আবেদন এবং ব্যক্তিগত প্রস্তাবের মাধ্যমে অনুপাতিক হারে বরাদ্দ করা হবে। এই রূপান্তরের পর কোম্পানির সাধারণ শেয়ারের সংখ্যা প্রায় ৫.৫% বৃদ্ধি পাবে

কোম্পানি সচিব মো. জুবায়ের আলম জানান, যেহেতু শেয়ারগুলো ধীরে ধীরে ইক্যুইটিতে রূপান্তরিত হবে, তাই কোম্পানির আর্থিক অবস্থায় তাৎক্ষণিক বড় কোনো প্রভাব পড়বে না। শেয়ারহোল্ডাররা প্রতি বছর তাদের প্রেফারেন্স শেয়ারের ২৫% রূপান্তর করতে পারবেন এবং ষষ্ঠ বছরের মধ্যে পুরোপুরি রূপান্তর সম্পন্ন হবে। শেয়ারহোল্ডাররা এ সময়ে ১৫% সুদ পাবেন এবং রূপান্তরকালে প্রতি সাধারণ শেয়ারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭৫ টাকা