ঢাকা   শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে কী শিখল পাকিস্তান, কোচের মুখে বিশ্লেষণ

খেলার জগৎ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ২৫ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ২৩:০৬, ২৫ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে কী শিখল পাকিস্তান, কোচের মুখে বিশ্লেষণ

শেষ দিনের হাসিটা পাকিস্তানের—গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে সালমান আগার দল স্বাগতিক বাংলাদেশ দলকে হারিয়েছে ৭৪ রানে। তাতে অবশ্য সিরিজ-ট্রফির পথ এদিক-ওদিক হয়নি। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন লিটন দাসরা।

ঢাকার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তিন টি-টোয়েন্টির এই সিরিজের মাস দুয়েক আগে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেও সমানসংখ্যক ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। সেবার ৩-০ ব্যবধানে জিতে ট্রফি হাতে তুলেছিলেন সালমানই। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই মাসের মধ্যে দুটি সিরিজ খেলার পর এ নিয়ে একটি মূল্যায়ন-বার্তা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তান কোচ মাইক হেসন। জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে ছয় টি-টোয়েন্টি খেলে কী শিখল তাঁর দল।

মে মাসে পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়া হেসন এখন পর্যন্ত দুটি সিরিজে দায়িত্ব পালন করেছেন। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দুই সিরিজ নিয়ে নিজের ভাবনার শুরুতে লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেন তিনি, ‘বর্তমানে বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম স্থানে থাকা অবস্থায় আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে গভীরতা ও প্রতিযোগিতা তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি এমন একটি ক্রিকেট স্টাইল খেলতে হবে, যা আমাদের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও ধারাবাহিকতা দিতে পারে, বিশেষ করে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে।’

মে-জুনে বাংলাদেশের বিপক্ষে লাহোরে খেলা তিন ম্যাচেই ভালো রান করেছিল পাকিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২০১ ও ২০১, এরপর তৃতীয় ম্যাচে ১৯৬ রান তাড়ায় ১৬ বল হাতে রেখেই জিতেছিল সালমানের দল। বিপরীতে এবার মিরপুরে পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১১০, দ্বিতীয় ম্যাচে পরে ব্যাট করে ১২৫ রানে অলআউট হয়। হারে দুটি ম্যাচেই। তবে শেষ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে তোলে ৭ উইকেটে ১৭৮, জেতেও বড় ব্যবধানে।


দুই দেশের দুই ভিন্ন মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে হেসন লিখেছেন, ‘প্রথম ছয়টি ম্যাচ দুটি ভিন্ন ধরনের পিচে খেলে আমরা মূল্যবান বার্তা পেয়েছি। তরুণদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইনআপ শুরুতে ২০০+ রান করে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তবে টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে কম রানের ভেন্যু মিরপুর আমাদের অভিযোজনক্ষমতা পরীক্ষা করেছে। শুরুতে আমাদের সংগ্রাম করতে হয়েছে, এরপর ঘুরে দাঁড়িয়েছি এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে শেখার সামর্থ্য দেখিয়েছি।’

সাবেক নিউজিল্যান্ড কোচের মতে, পাকিস্তানের নতুন খেলোয়াড়েরা প্রতিশ্রুতিশীল, তাঁরা তাঁদের সম্ভাবনা দেখিয়েছেন। তবে পাকিস্তান কোচ সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট ফিল্ডিংয়ের উন্নতিতে। বিশেষ করে মিরপুরে শেষ দুই টি-টোয়েন্টির কথা আলাদা করেই বলেছেন, ‘শেষ দুটি ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে আমরা অনেক উন্নতি করেছি, আমাদের খেলা এখন আন্তর্জাতিক ফিল্ডিং দলের মতো হয়ে উঠছে।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শেষ হওয়ার পরদিনই পরবর্তী সফরের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। সালমান আগার নেতৃত্বাধীন টি-টোয়েন্টি দলের ম্যাচগুলো হবে যুক্তরাষ্ট্রের লডারহিলে, প্রথম ম্যাচ ৩১ জুলাই।

আর মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বাধীন ওয়ানডে দলের ম্যাচ হবে ত্রিনিদাদে, প্রথম ম্যাচ ৮ আগস্ট। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এ সিরিজ দিয়ে দলে ফিরেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে সুযোগ না পাওয়া শাহিন আফ্রিদি। ঢাকায় খেলে যাওয়া দল থেকে বাদ পড়েছেন সালমান মির্জা ও আব্বাস আফ্রিদি।