
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর শেষ হতে না হতেই শুরু হচ্ছে নতুন চক্রের (২০২৫–২৭) লড়াই। এই চক্রের সূচনা হচ্ছে বাংলাদেশকে দিয়েই। ১৭ জুন গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে টাইগাররা। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ ২৫ জুন, কলম্বোতে।
চতুর্থ চক্রে অংশ নিচ্ছে ৯টি দল। প্রত্যেকে খেলবে ছয়টি সিরিজ—তিনটি ঘরে, তিনটি বিদেশে। ফাইনালসহ ম্যাচ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১টি। পয়েন্ট নিয়ম আগের মতোই থাকছে (জয় ১২, ড্র ৪, টাই ৬)।
বাংলাদেশ এবারে সর্বনিম্ন ১২টি ম্যাচ খেলবে, শ্রীলঙ্কার সমান। ২০২৫ সালে একটি সিরিজই খেলবে তারা—শ্রীলঙ্কার মাটিতে। বাকি পাঁচ সিরিজ হবে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই।
টাইগারদের জন্য বড় প্রেরণার বিষয় হলো—এই ছয় প্রতিপক্ষের মধ্যে চারটির বিপক্ষেই শেষ সিরিজে বাংলাদেশ হারেনি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছে, আর পাকিস্তানকে ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ধবলধোলাই করেছে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল হতাশায়। প্রথম দুই চক্রে কোনো ম্যাচ জিততে না পারলেও তৃতীয় চক্রে চারটি জয় এনে দেয় কিছুটা আত্মবিশ্বাস। এবারের চক্রে সেই উন্নতির ধারাকে টেনে নিতে চায় দল। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, “গত চক্রে আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। এবার লক্ষ্য আরও ১–২টি ম্যাচ বেশি জেতা।”
২০২৬ সালের মার্চে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু হবে বাংলাদেশের বাকি পাঁচ সিরিজের যাত্রা। আগস্টে সফর অস্ট্রেলিয়ায়, অক্টোবর-নভেম্বরে ম্যাচ ঘরে ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। শেষ সিরিজ ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে।
সবশেষে, চতুর্থ চক্রের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক লর্ডসে, ২০২৭ সালের জুনে। টাইগারদের টার্গেট—শুধু অংশগ্রহণ নয়, পারফরম্যান্স দিয়ে প্রতিপক্ষকে চমকে দেওয়া।