
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলের আড়ালে বাড়ছে এক ভয়াবহ ঝুঁকি—অনলাইন বেটিং। তথাকথিত ফ্যান্টাসি প্ল্যাটফর্মের নামে বেটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন অল্প বয়সী কিশোর-কিশোরীরাও। এতে শুধু অর্থ নয়, ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনা ও মানসিক স্বাস্থ্যেরও।
দিল্লির এক ১৬ বছরের কিশোর অনলাইন বেটিংয়ে খুইয়েছে ৫০ হাজার রুপি। তার বাবা মণীষ বিস্মিত, ক্ষুব্ধ এবং প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তারকা ক্রিকেটারদের দিকে, যারা এসব বেটিং অ্যাপের মুখ হয়ে উঠেছেন। “ক্রিকেট তো ছিল অনুপ্রেরণার প্রতীক, তারকারা এখন কী এমন কিছু প্রচার করছেন, যা এত বিপজ্জনক?”, বলেন তিনি।
আরেক অভিভাবকের অভিযোগ, “বিসিসিআই শুধু অর্থ আয়ের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছে, সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য তাদের কাছে যেন অপ্রাসঙ্গিক।” ফ্যান্টাসির ছদ্মবেশে যেসব প্ল্যাটফর্ম অর্থের লোভ দেখিয়ে তরুণদের আসক্ত করছে, সেগুলো বড় টুর্নামেন্টে স্পনসর হিসেবেও যুক্ত হচ্ছে।
স্টেডিয়ামে বসে লাইভ বেটিংয়ে মত্ত কিশোরদের দৃশ্য দেখে অনেক অভিভাবক উদ্বিগ্ন। যদিও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে কিছু চক্রকে ধরছে, কিন্তু মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ফাঁকফোকর গলে বেটিং চলছে সমানে।
সমালোচকদের মতে, বিসিসিআই চাইলে নৈতিক অবস্থান নিয়ে এসব বন্ধ করতে পারে। কিন্তু বোর্ডের নীরবতায় জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে। অভিভাবকরা চান, তারকা ক্রিকেটাররা যেন আর এ ধরনের অ্যাপের প্রচারে অংশ না নেন এবং বোর্ড স্পনসরশিপ বাতিল করে অনলাইন বেটিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়।