
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ পাঁচ নেতা হঠাৎ করেই কক্সবাজারে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও গুঞ্জন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, সেখানে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে একটি গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র আশা বে বলেন—“পিটার হাসের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি এখন একজন বেসরকারি নাগরিক। কোনো বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।”
জানা গেছে, আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে এনসিপির পাঁচ নেতা কক্সবাজারে পৌঁছান।তারা হলেন:
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী – মুখ্য সমন্বয়ক
সারজিস আলম – মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল)
হাসনাত আবদুল্লাহ – মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল)
ডা. তাসনিম জারা – জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব
খালেদ সাইফুল্লাহ – এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও তাসনিম জারার স্বামী
তারা বর্তমানে ইনানীর পাঁচ তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপ সি পার্ল রিসোর্টে অবস্থান করছেন।
গুঞ্জনের বিষয়ে মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন—“আমরা কক্সবাজারে ঘুরতে এসেছি। পিটার হাসের সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি। পুরো বিষয়টাই গুজব ও প্রোপাগান্ডা। হোটেলে চেক-ইন করার পরই এমন খবর দেখলাম।”
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সাইফউদ্দীন শাহীন নিশ্চিত করেছেন, এনসিপির পাঁচ নেতা সহ মোট ছয়জন ওই হোটেলে অবস্থান করছেন। তবে তিনি জানান,“সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস হোটেলে নেই। সেখানে শুধু তিনজন চীনা নাগরিক অবস্থান করছেন। এনসিপি নেতাদের সঙ্গে কারও মিটিং হয়েছে কিনা, সে তথ্য আমাদের কাছে নেই।”
সাবেক রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগ তুলে উখিয়ার স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হোটেলের সামনে বিক্ষোভ করেছেন।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেন—“জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে হঠাৎ এনসিপির শীর্ষ নেতারা কক্সবাজারে গিয়ে শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের হোটেলে অবস্থান করছে—এটা সন্দেহজনক। বিশেষ করে পিটার হাসের সঙ্গে তাদের বৈঠকের গুঞ্জন ব্যাপক কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। পিটার হাস আসলে ছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”