
বাংলাদেশ রিলিজিয়াস মাইনরিটি' শীর্ষক এক গোল টেবিল আলোচনা সোমবার (১৬ জুন) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আমেরিকা বাংলাদেশ কোয়ালিশন ফর ডেভেলপমেন্ট-এবিসিডি ও মাল্টি ফেইথ নেবার নেটওয়ার্ক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রকৃত অবস্থা ও মিডিয়ার দায়িত্ব কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা হয়।
সংখ্যালঘুদের নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে মিডিয়ায় ভুল তথ্য প্রচার বা প্রোপাগান্ডা চালানো হয়। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রতিবেশী ভারতের মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। সম্প্রতি ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠান যাচাই করে দেখেছে, সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের ৭২ শতাংশ, যাদের অবস্থান ভারতে তারা বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে।
হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান ও বৌদ্ধসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশ পারস্পরিক সহ অবস্থানের ঐতিহ্য লালন করে আসছে। এটা আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক বিশ্বাসের মূল্যবান সৌন্দর্য। এটা আমাদের সবাইকে বহন করতে হবে।কখনো কখনো স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শক্তি এবং কিছু কিছু দুষ্কৃতকারী এই সুন্দর পরিবেশকে নষ্ট করার চেষ্টা করে আসছে।
অনুষ্ঠানে মতবিনিময় করেন মুসলিম আমেরিকান সিটিজেনস কোয়ালিশন অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলের জাতীয় পরিচালক আক্তার হোসেন, মাল্টিফেইথ নেবার নেটওয়ার্ক এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এর পরিচালক সৈয়দ মুক্তাদির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস, ঢাকার মোহাম্মদপুরের সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী কাউন্সিলর ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপের সহ-আহ্বায়ক রেবা ভেরোনিকা ডি'কস্তা,
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার পাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও বৌদ্ধ অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জোতিষী চাকমা, আন্তর্জাতিক শান্তি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক শমসের আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. শান্তু বড়ুয়া, প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া,হিন্দু মহাজোট মহাসচিব ডাঃ গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক প্রমুখ।