
গুরুতর কোনো লক্ষণ দেখা না দিলে আমরা সাধারণত চিকিৎসকের কাছে যাই না। কিন্তু আমাদের শরীর কখনো কখনো নীরবে কিছু গুরুতর রোগের সতর্কতা দিতে শুরু করে। কিডনি যখন ফেল করতে শুরু করে তখনো একই রকম কিছু ঘটে। কিডনি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা শরীর পরিষ্কার করে এবং যখন তারা সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন প্রথম প্রভাব পায়ে দেখা যায়।
মাঝে মাঝে পা এমন কিছু সংকেত দেয়, যার দিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেখার পরে উপেক্ষা করা অনুচিত। কারণ এটি আপনার কিডনির স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। কী সেসব লক্ষণ, জেনে নিন—
পা ফুলে যাওয়া
আপনার যদি মনে হয় সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার পা, গোড়ালি বা পায়ের আঙুল ফুলে গেছে, তাহলে এটি স্বাভাবিক ক্লান্তি নয়।
বরং এটি কিডনি বিকল হওয়ার লক্ষণ হতে পারে। যখন কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম অপসারণ করতে সক্ষম হয় না, তখন তা পায়ে জমা হয়।
পায়ে ঘন ঘন খিঁচুনি
কিডনি খারাপ হলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। এর ফলে পায়ের পেশিতে খিঁচুনি হতে পারে।
যদি কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বারবার খিঁচুনি অনুভব করেন, তাহলে সতর্ক থাকুন।
পায়ের ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি
কিডনির কাজ হলো শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করা। এই কাজটি ধীর হয়ে গেলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে শুরু করে। যার ফলে ত্বক, বিশেষ করে পায়ের ত্বক শুষ্ক ও চুলকানিযুক্ত হয়ে ওঠে।
পায়ে ঝিনঝিন বা অসাড়তা
কিডনির সমস্যা স্নায়ুকেও প্রভাবিত করে।আপনার পায়ে যদি ক্রমাগত ঝিনঝিন, অসাড়তা অনুভব হয়, তাহলে এটিকে উপেক্ষা করবেন না।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
যদি এই লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনোটি ৫-৭ দিন ধরে একটানা দেখা যায়, তাহলে দেরি করবেন না। অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে নিজেকে পরীক্ষা করান। একটি সাধারণ প্রস্রাব পরীক্ষা এবং রক্তের রিপোর্ট কিডনির অবস্থা মূল্যায়ন করতে পারে।
কিডনি রোগ ধীরে ধীরে অগ্রসর হয় এবং যখন এর লক্ষণগুলো স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়, তখন অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। তাই শরীর থেকে আসা ছোট ছোট সংকেতগুলোকে উপেক্ষা করবেন না। বিশেষ করে যখন সেগুলো পা দিয়ে পাওয়া যায়। সময়মতো সচেতন থাকাই সবচেয়ে বড় জ্ঞান।
সূত্র : এবিপি লাইভ