ঢাকা   শুক্রবার ০৮ আগস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্যে ৫০% শুল্ক, বাড়ছে বাংলাদেশের রপ্তানির সম্ভাবনা

অর্থ ও বাণিজ্য

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০২, ৮ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১১:০৫, ৮ আগস্ট ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্যে ৫০% শুল্ক, বাড়ছে বাংলাদেশের রপ্তানির সম্ভাবনা

যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বেশ কিছু পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আরোপ করায় খুলে গেছে বাংলাদেশের জন্য রপ্তানির নতুন দরজা। বিশেষ করে তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত মাছ ও আসবাবসহ বেশ কিছু খাতে ভারত প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এর ফলে এসব পণ্যের যুক্তরাষ্ট্রের ক্রয়াদেশ বাংলাদেশের দিকে ঘুরে আসতে পারে।

শুল্ক নীতির পালাবদল: ভারতের ব্যবসায়ীদের অপ্রস্তুত অবস্থা

মাত্র দুই সপ্তাহ আগেও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নীতিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার রপ্তানি ঠেকিয়ে বাজার দখলের পরিকল্পনায় ছিল ভারত। কিন্তু চিত্র বদলে দেয় ৩১ জুলাইয়ের ঘোষণায়। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ার পণ্যে ২০ শতাংশের মতো পাল্টা শুল্ক আরোপ করলেও ভারতের ক্ষেত্রে তা ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ভারতের মোট পাল্টা শুল্ক দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির ‘শাস্তি’ হিসেবেই এই অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হয়েছে। শুল্ক কার্যকর হবে ২১ দিন পর।

কোন কোন খাতে সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ?

ভারতের ৮০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বড় অংশই যুক্তরাষ্ট্রমুখী। এর মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, চামড়া, হিমায়িত মাছ ও আসবাব। পাল্টা শুল্কের ফলে এসব পণ্যে ভারতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে যাবে। ফলে বাংলাদেশ এই বাজারে জায়গা নিতে পারে।

  • পোশাক: ভারত থেকে রপ্তানিতে শুল্ক বেড়ে ৬০% ছুঁতে পারে, যেখানে বাংলাদেশের হবে ৩৬.৫%।

  • হোম টেক্সটাইল: ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে অনেক কম রপ্তানি হলেও কিছু বড় কারখানা অর্ডার নিতে প্রস্তুত।

  • আসবাব: হাতিলসহ কিছু কোম্পানি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ধরতে হলে বন্ড সুবিধা বাড়াতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক বিশ্ববাণিজ্য কাঠামোর পরিপন্থী হলেও এর প্রভাব স্পষ্ট। দ্রুত সিদ্ধান্ত বদলের কারণে এখনই ব্যবসা স্থানান্তরের পূর্বাভাস দেওয়া যাচ্ছে না। তবে তিনি সতর্ক করেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সীমিত বাণিজ্য থাকলেও একই ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে বাংলাদেশও।