
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে আজ শনিবার (২৮ জুন) প্রথম জাতীয় ‘টুওয়ার্ডস এ সাসটেইনেবল ফিউচার ইকোনোমিক স্টাবিলিটি, পলিটিক্যাল রিফর্মস অ্যান্ড সোসিও কালচারাল ট্রান্সফরমেশন ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান।
সম্মেলনের কীনোট স্পিকার ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ উদ্দীন খান, গেস্ট অব অনার ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রফিকুল ইসলাম এবং সভাপতিত্ব করেন মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরী।
৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ জন গবেষক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রিত শিক্ষাবিদ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সকল শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টরা।
উদ্বোধনী সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল-আওয়াল প্রথমেই অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও দীর্ঘদিন এমন জাতীয় ও আন্তর্জাতিন সম্মেলন হয়নি। এর আগে প্রথম ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে প্রথম বিজনেস সম্মেলন হয়েছিল। এটি দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন। খুব দ্রæতই বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং জীব ও ভ‚-বিজ্ঞান অনুষদে জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করা হবে এবং পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা হবে। এ ধরনের সম্মেলন শিক্ষা ও গবেষণায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে। তিনি বলেন, বছরের পর বছর আমাদের কোনো টেকসই উন্নয়ন সাধিত হয়নি এবং আমরা কোনো ভালো নেতৃত্বও পাইনি। গত ১৭-১৮ বছরে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে, যার ফলে টেকসই অর্থনীতিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে। তিনি চীনের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘আলী বাবা’র প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা’র উত্থান ও জীবনী তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে ইনোভেটিভ আইডিয়া ও পটেনশিয়ালিটি থাকতে হবে। আমাদের অনেক সুযোগ আছে, সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।"
কীনোট স্পীকার অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, "প্রতিনিয়ত পৃথিবী পরিবর্তীত হচ্ছে এবং এই পরিবর্তনকে আমাদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। সমাজের মঙ্গলের জন্য অর্থনীতিবিদ, গবেষক, বিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানী সবাই মিলে একসাথে কাজ করতে হবে। প্রকৃতিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে, দুর্নীতি কমানো এবং দারিদ্রতা দূর করে টেকসই উন্নয়ন ঘটাতে হবে।"
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, "এই কনফারেন্সের মাধ্যমে আমাদের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমাদের নতুন নতুন ধারণা ও চিন্তা করতে হবে। এ ধরনের সম্মেলন শিক্ষা ও গবেষণায় মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এর ফলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের কোলাবোরেশন বাড়বে এবং দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে।"
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান বলেন, "আজকের কনফারেন্সের মাধ্যমে আমাদের নবদিগন্তের শুরু। এর মাধমে নলেজ বিনিময় হবে এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের গাইডলাইন পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতে আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আরও করব। দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য ইনোভেশন খুবই গুরত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে নতুন নতুন আইডিয়া তৈরি হবে এবং গবেষণায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।"
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক নিশাত তাবাসসুম এবং ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সাবিহা আফরিন বাঁধন। অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনের গ্যালারী ২ তে অনুষ্ঠিত হয়।