২০২৭ সাল থেকে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ে পরিমার্জিত নতুন শিক্ষাক্রম চালুর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এটি চালু হবে, পরে ধাপে ধাপে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে পাঠদান চলছিল। পরিকল্পনা ছিল ২০২৪ সালেই মাধ্যমিক স্তরের সব শ্রেণিতে তা চালুর। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতায় সরকার পরিবর্তনের পর এই পরিকল্পনা বাতিল করে ২০১২ সালের পুরোনো শিক্ষাক্রম পুনর্বহাল করা হয়।
বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে কার্যত নতুন শিক্ষাক্রমই বহাল রয়েছে এবং সেই অনুযায়ী নতুন পাঠ্যবই তৈরির কাজও প্রায় শেষ। এনসিটিবি পরিমার্জিত পাঠ্যক্রম প্রস্তুত করছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “নতুন স্বপ্ন ও পরিকল্পনায় প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তি, দায়বোধ, ইনসাফ—সব থাকবে। এজন্য জাতীয় ঐকমত্য ও অংশীজনের মতামত জরুরি।” তিনি জানান, বিশেষ পরিস্থিতিতে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম ফিরিয়ে আনা হলেও ভবিষ্যতে একটি আধুনিক ও মুক্তচিন্তামূলক শিক্ষাকাঠামোর ভিত গড়ে তোলা হবে।
সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, “একসঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পরিবর্তন নয়, বরং ধাপে ধাপে বাস্তবায়নই যৌক্তিক। ২০২৭ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এটি শুরু হবে।”
এদিকে কলেজ পর্যায়ে শিক্ষক বদলির প্রক্রিয়া ১ জুলাই থেকে অনলাইনে শুরু হবে এবং পরে বিদ্যালয় পর্যায়েও চালু করা হবে বলে জানান শিক্ষা উপদেষ্টা। এছাড়া এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর-কল্যাণে সরকার ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড এবং ২০০ কোটি টাকা নগদ বরাদ্দ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
