ঢাকা   বুধবার ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২

‘প্রাথমিক শিক্ষার মান্নোনয়নে ১৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে’

গ্রামবাংলা

রংপুর ব্যুরো

প্রকাশিত: ১৯:২৮, ৫ আগস্ট ২০২৫

‘প্রাথমিক শিক্ষার মান্নোনয়নে ১৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান্নোনয়নে ১৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার প্রধান শিক্ষকপি এসসি’র মাধ্যমে নিয়োগ করা হচ্ছে। একটি মামলার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। মামলা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান হলে ৩২ হাজার শিক্ষককে সহকারী শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হবে।  স্কুলে যাওয়ার উপযোগি প্রত্যেক শিশুকে বাধ্যতামূলক, অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে রংপুর শিল্পকলাএকাডেমি প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেডের হলে সমস্যা তৈরি হওয়ার আশংঙ্কা দেখছিনা। প্রশাসনিক অনেক পদ রয়েছে যেখানে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও যাদের নিয়ন্ত্রণ করা হয় উভয়ে একই পদের। শিক্ষকদের জন্য বেতন কমিশন হয়েছে। বেতন কমিশন সেটি বিবেচনা করবে।

কিন্ডার গার্টেন শিক্ষার্থীদের সরকারী প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া নিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেক ক্ষেত্রে নিম্নবিত্ত ঘরের ছেলে-মেয়েরা পড়ে। তারা অনেকসুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত থাকে। তাদের অভিভাবকরা সঠিকভাবে খেয়াল রাখেনা। অপরদিকে কিন্ডার গার্টেনে নিজস্ব বৃত্তি চালু রয়েছে। ক্লাস টু থেকে ফাইভ পর্যন্ত সেখানে বৃত্তিপরীক্ষা হয়। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বৃত্তি না, প্রাথমিক শিক্ষার মান্নোনয়ন। দেশের সংবিধানে আছে সরকার প্রত্যেক নাগরিকের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরবে। যদি কেউ মনে করে সে সরকারী বৃত্তিপরীক্ষায় অংশ নেবে, তাহলে আমাদের স্কুল ওপেন আছে। তারা সরকারী স্কুলেভর্তি হোক, আমরা সবার দায়িত্ব নেব।

উপদেষ্টা বলেন,আগে পরীক্ষা থেকে মুক্তি দেয়া একটি প্রকল্প চালু ছিল। কিন্তু শিক্ষক, অভিভাবক কেউ তা ভালভাবে নেয়নি। উন্নত দেশগুলোতে প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অনুপাত রয়েছে। কিন্তু সেই অনুপাত আমাদের দেশে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। তাই আমরা পূনরায় পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করেছি। 

তিনি বলেন, প্রাথমিকে শিক্ষার্থীরা কত নম্বর পেল তা আমরা দেখতে চাই না। বরংআমরা দেখতে চাই একজন শিক্ষার্থী তার মাতৃভাষায় লিখতে, পড়তে, বুঝতে ও মনেরভাব প্রকাশ করতে পারে কিনা। সাধারন অংক করতে পারে কিনা। যদি এটি পারে তবে আমরা বুঝবো শিক্ষার্থী পড়াশোনায় এগিয়ে গেছে। যারা পিছিয়ে রয়েছে তাদের জন্য আমরা আলাদা ক্লাসের ব্যবস্থা করছি। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে, ডিসেম্বরে আমরা এর মূল্যায়ন করবো।