ঢাকা   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

দেড়মাস সংসার করার পর জানা গেল নববধু পুরুষ

গ্রামবাংলা

আজু শিকদার, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

প্রকাশিত: ২২:৫০, ২৬ জুলাই ২০২৫

দেড়মাস সংসার করার পর জানা গেল নববধু পুরুষ

দীর্ঘ দেড় মাস স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দাম্পত্য জীবন কাটানোর পর হঠাৎ করেই প্রকাশ্যে আসে মাহমুদুল হাসান শান্ত'র বিয়ে করা নববধু সামিয়া একজন পুরুষ মানুষ। গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

মাহমুদুল হাসান শান্ত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হাউলি কেউটিল গ্রামের মো. বাদল খানের ছেলে। কথিত সামিয়ার প্রকৃত নাম মো. শাহিনুর রহমান। সে চট্টগ্রামের আমতলা ঈদগাহ বৌবাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সামিয়া নামে ফেসবুকে দীর্ঘদিন প্রেম করার পর গত ৭ জুন শান্ত'র বাড়িতে চলে আসে কথিত সামিয়া। এরপর পরিবারের সম্মতিতে এলাকাবাসী মৌলভী দিয়ে বিয়ে করিয়ে দেন শান্ত ও সামিয়ার। এরপর থেকে নববধু হিসেবে শান্তর পরিবারে বসবাস করতে থাকে সামিয়া। এর মধ্যে কখনো কেউ কল্পনাও করতে পারেনি তাদের পরিবারে নববধু হিসেবে যে বসবাস করছে সে একজন ছেলে।

তবে নানা কারণে সম্প্রতি স্বামী শান্ত ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে তাকে নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। একপর্যায়ে গত শুক্রবার বিকেলে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা নিশ্চিত হয় নববধু সামিয়া একজন ছেলে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

মাহমুদুল হাসান শান্ত জানায়, ফেসবুকের মাধ্যমে কথিত সামিয়ার সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর হঠাৎ গত ৭ জুন সে তাদের বাড়িতে চলে আসে। এসময় তার অভিভাবক ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে হুজুর দিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়। সামিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় কাবিন রেজিষ্ট্রি করা হয়নি।

তিনি আরো জানান, বিয়ের পর থেকেই তার স্ত্রীর আচরণ রহস্যজনক ছিল। তার কাছে গেলেই সে বলত, ‘আমি এখন অসুস্থ্য, ডাক্তার আপাতত কাছে আসতে নিষেধ করেছে।'

শান্ত’র মা মোছা. সোহাগী বেগম বলেন, ‘একজন ছেলে মানুষ আমাদের পরিবারে বৌ হয়েছিল, আমরা টের পাইনি। সে অভিনয় করে আমাদের সবার মন জয় করে নিয়েছিল। কিন্ত সবই যে তার অভিনয় ছিল তা আমরা বুঝতে পারিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে শনিবার সকালে তাকে আমরা তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেই।’

এ প্রসঙ্গে শাহিনুর রহমান অরফে সামিয়া ফোনে বলেন, ‘শান্ত’র সাথে আমি যা করেছি, সেটা আমি অন্যায় করেছি। এটা করা আমার ঠিক হয়নি।’  

তিনি আরো বলেন, তার হরমন জাতীয় শারীরিক সমস্যা আছে, তাই নিজেকে মেয়ে ভাবতে ভালো লাগে।