ঢাকা   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

শিগগিরই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা

গ্রামবাংলা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ১৫ জুলাই ২০২৫

সর্বশেষ

শিগগিরই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা

চীনের সাথে জোরালো আলোচনা চলছে, শ্রীঘ্রই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা  সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ (১৫ জুলাই) দুপুরে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নে খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তিস্তা নদীর বাম তীর পূর্ব সতর্কতামুলক প্রকল্পের কাজ পরির্দশনে এসে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, তিস্তার মহাপরিকল্পনা তিস্তার নদীর গতি প্রকৃতিটা অনেকটাই আমাদের নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে উজানের দেশের উপর। সরকারি পর্যায় থেকে তিস্তা মহাপরিকল্পনার ব্যাপারে কাজ করা  হয়েছিল। আপনারা জানেন যে ২০১১ সালে একটা চুক্তি করা হয়েছিল, তবে সেই চুক্তি এখনো স্বাক্ষর করা হয়নি। সেই কাজও এখনো চলমান রয়েছে। পাশাপাশি তিস্তা যেহেতু আমাদের দেশের নদী, ভাটির দেশের জনগণ হিসেবে এই নদীর উপর আমাদের অধিকার আছে। আমরা কেমন করে সুরক্ষিত রাখতে পারি সেজন্য চীন সরকারের সাথে  ২০১৬ সালে একটা স্বারক দেওয়া হয়েছিল, এরপরে একটা প্লান দেওয়া হয়েছিল সেই প্লান আর আগায়নি।

তিনি বলেন, আমরা এসে জনগণের দাবি  শুনেছিলাম যে তাঁরা তিস্তাকে নিয়ে একটা মহাপরিকল্পনা চায়। আমরা এসে সেই পরিকল্পনাকে মহাপরিকল্পনায় রূপ দেওয়ার জন্য চীন সরকারের সাথে কথাবার্তা শুরু করেছি। এখানে আমরা পাঁচটা গণশুনানি এখানে করেছি। যাতে এই পরিকল্পনা সরকারের পরিকল্পনা না হয়ে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর পরিকল্পনা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড এর মহাপ‌রিচালক এনা‌য়েত উল্লাহ, উওরাঞ্চলের  প্রধান  প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান, ঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন আহবায়ক ডা. আতিক মুজাহিদ প্রমুখ। 

এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের  সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কুড়িগ্রামের রাজাহাট ও উলিপুর উপজেলার ২৪ টি পয়েন্টে  ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্ব সতর্কতামূলক তিস্তা নদীর বাম তীর সংরক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে চলমান কাজের শতকরা ৮০ ভাগের উপরে সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকী কাজ শেষ হবে।

সর্বশেষ