অর্থনীতির শক্ত ভিত গড়ে তুলতে পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে পুঁজিবাজার প্রায়ই অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। ফলে বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারান এবং পুঁজিবাজার কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়।
শেয়ারবাজারের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার-পরবর্তী যে উত্থান-পতন হচ্ছে, সেটাই স্বাভাবিক। পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস-পরবর্তী উত্থান-পতনটাই স্বাভাবিক। প্রথম দিকে এটা কিছুটা পড়বে, কারেকশন হবে—এটাই নিয়ম। কারণ বহুদিন ধরে এক জায়গায় আটকে ছিল, এর মধ্যে অনেক কম্পানির আর্থিক অবস্থা দুর্বল হয়েছে।
বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের চেয়ারম্যান ও সিইও ওয়ারেন বাফেটের ৩৬০ বিলিয়ন ডলার পোর্টফোলিওর ৭৮ শতাংশ বিনিয়োগ করেছেন ছয়টি শেয়ারে। ওমাহা ও তাঁর দলের ২৮০.৬ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ অ্যাপল, ব্যাংক অব আমেরিকা, আমেরিকান এক্সপ্রেস, কোকা-কোলা, শেভরন ও অক্সিডেন্টাল পেট্রোলিয়ামে বিনিয়োগ করে রেখেছেন।
বর্তমানে বিনিয়োগের বিশ্বে সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে স্টক মার্কেট বা শেয়ার বাজার। অথচ বহু মানুষ এখনও বাজারে বিনিয়োগ করতে ভয় পান। ভাবেন, এই বুঝি লোকসান হল। আর ভয় পাওয়াটাও স্বাভাবিক। একটু ভুল হলেই কষ্টার্জিত পয়সা অথৈ জলে। তা হলে উপায়? খানিক অঙ্ক কষে বিনিয়োগ করলেই এই ভয় কেটে যেতে পারে।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক নতুন বিনিয়োগকারীদের একটা প্রশ্ন থাকে যে কমপক্ষে কত টাকা বিনিয়োগ নিয়ে শুরু করা যাবে, এক্ষেত্রে আপনি সেকেন্ডারি মার্কেটে যেকোন পরিমাণ টাকা দিয়েই বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন তবে আইপিও( প্রাথমিক বাজার) এ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিও হিসাবে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকার বাজার মূল্যে সেকন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকতে হবে।
এখন শেয়ারবাজারে মন্দাভাব চলছে। লেনদেন নেমেছে তলানিতে। তাতে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ কমে গেছে বাজারে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী থেকে ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারী—সবার মধ্যেই এখন দুশ্চিন্তা। বাজারের এ অবস্থায় কি করবেন—সবার মধ্যেই যেন একই প্রশ্ন। তবে বিশ্লেষকেরা বলেন, মন্দাবাজারও কখনো কখনো নতুন সুযোগ তৈরি করে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে ঝুঁকি নিতে হয়।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সব সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে যদি না জেনে, না বুঝে কেউ বিনিয়োগ করেন, তাহলে তাতে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। শেয়ারবাজারের এ ঝুঁকি টাকা হারানোর। এই ঝুঁকির বিপরীতে আছে বেশি মুনাফার সম্ভাবনাও। সেই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে বিনিয়োগের আগে জানতে হবে কিছু বিষয়ে।
বিচার-বিশ্লেষণ ও বুদ্ধিমত্তা প্রকাশের ক্ষেত্র হলো পুঁজিবাজার। বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে পারলে শেয়ারবাজার থেকে লাভবান হওয়া সম্ভব। আর বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে মারা গেছেন ইনডেক্স ইনভেস্টিংয়ের জনক জন সি বোগল। তাকে উৎসর্গ করে ২০১৯ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক সম্মেলন। তথাকথিত বাজার বিশ্লেষকদের কেউ এ সম্মেলনের আয়োজন করেননি।