facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৭ জুলাই শনিবার, ২০২৪

Walton

তফসিলের আগেই শরীয়তপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা


১৬ নভেম্বর ২০১৬ বুধবার, ০৩:৪১  পিএম

এমএ ওয়াদুদ মিয়া, শরীয়তপুর

শেয়ার বিজনেস24.কম


তফসিলের আগেই শরীয়তপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা

তফসিল ঘোষণার আগেই শরীয়তপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনের মাঠ গরম হয়ে ওঠেছে। জেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী তাদের প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন।

এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারের জন্য মাইক, বিল বোর্ড, তোরণ নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা অরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এ ধাপের নির্বাচনী প্রচারণায় বাড়তি বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এসব বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে আর্থিক জরিমানাসহ কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে সস্পূর্ণ আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। এখানে সাধারণ ভোটারদের ভোট দেওয়ার কোনো জায়গা নেই। এখানে ভোট দেবেন ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত মেম্বার এবং চেয়ারম্যানরা। যার প্রেক্ষিতে এ নির্বাচনে পাড়া বা মহল্লায় প্রকাশ্যে বোঝা যাবে না নির্বাচনী আমেজ। সনাতন পদ্ধতিতে শোনা যাবে না মাইকের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য গভর্নর এবং সদস্য প্রার্থীরা প্রকাশ্যে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে লবিং শুরু করেছেন।

এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কেন্দ্রের নির্দেশনা পাওয়ায় অপেক্ষায় রয়েছে জেলা বিএনপি। কেন্দ্রের নির্দেশনা আসলেই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। ভিতরে ভিতরে তারা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। সেক্ষেত্রে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালুর নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শরীয়তপুরে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। দলীয় সমর্থন পেতে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। ছুটে যাচ্ছেন তৃণমূলে ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মেম্বাদের কাছে। এছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থীরা দল ভারি করতে প্রভাবশালী নেতাদের আয়াত্বে আনতেও চেষ্টা করছেন।

শরীয়তপুরে এবার জেলা পরিয়দ নির্বাচনে বেশ কিছু হেভিওয়েট প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে বর্তমান গভর্নর মাস্টার মজিবর রহমান, জেলা

আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নূর মোহাম্মদ কোতোয়াল, শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুর রব মুন্সি এবং জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদারের নাম জোড়ালোভাবে শোনা যাচ্ছে।

এবার শরীয়তপুর জেলাকে ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছে। যার মোট ভোটার সংখ্যা ৯৪১ জন। এর মধ্যে জাজিরা উপজেলার নাওডোবা, পূর্ব নাওডোবা, পালের চর, বড় নগর এবং সেনের চরকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ১নং ওয়ার্ড। যার ভোটার সংখ্যা ৬৫ জন।

জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর, জয়নগর, মূলনা এবং সদর উপজেলার চন্দ্রপুরকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ২নং ওয়ার্ড। যার ভোটার সংখ্যা ৫২ জন।

জাজিরা উপজেলা পরিষদ, জাজিরা পৌরসভা, জাজিরা ইউনিয়ন পরিষদ, বিলাসপুর, কুন্ডেরচর এবং বড়কান্দিকে নিয়ে সাজানো হয়েছে ৩নং ওয়ার্ড। যার ভোটার সংখ্যা ৬৮ জন।

নড়িয়া উপজেলার রাজনগর, মোক্তারের চর. নসাশন এবং জপসাকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ৪নং ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ৫২ জন।

নড়িয়া উপজেলা পরিষদ. নড়িয়া পৌরসভা, ফতেজঙ্গপুর, ভোজেশ্বর এবং ভূমখাড়াকে নিয়ে ৫নং ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে। যার ভোটার সংখ্যা ৫৫ জন।

নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর, ঘড়িগষার, চরআত্রা এবং নওপাড়াকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ৬নং ওয়ার্ড। যার ভোটার সংখ্যা ৫২ জন।

নড়িয়া উপজেলার চামটা, বিঝারী, ডিঙ্গামানিক, ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর এবং সদর উপজেলার রুদ্রকরকে নিয়ে গঠিত হয়েছে ৭নং ওয়ার্ড। যার ভোটার সংখ্যা ৬৫ জন।

ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা, চরভাগা, উত্তর তারাবুনিয়া, দক্ষিণ তারাবুনিয়া এবং সখিপুরকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ৮নং ওয়ার্ড। যার ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৬৫ জন।

ভেদরগঞ্জ উপজেলার ডি এম খালী, চর সেন্সাস, চর কুমারীয়া আর্শিনগর এবং ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যাকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ৯নং ওয়ার্ড। যার ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৬৫ জন।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ, ভেদরগঞ্জ পৌরসভা, নারায়ণপুর, মহিষার, ছয়গাঁও এবং ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুরকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ১০নং ওয়ার্ড। যার ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৬৮ জন।

ডামুড্যা উপজেলা পরিষদ, ডামুড্যা পৌরসভা, সিড্যা, দারুল আমান, কনেশ্বর এবং ধানকাঠিকে নিয়ে তৈরী করা হয়েছে ১১নং ওয়ার্ড। যার ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৬৮ জন।

গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ, গোসাইরহাট পৌরসভা, কুচাইপট্টি, আলাওলপুর, গোসাইরহাট ইউনিয়ন পরিষদ এবং কোদালপুরকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ১২নং ওয়ার্ড। যার ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৬৮ জন।

গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর, নলমুড়ি, নাগেরপাড়া, সামন্তসার এবং ডামুড্যা উপজেলার শিধুলকরাকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ১৩নং ওয়ার্ড। যার ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৬৫ জন।

শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ, শরীয়তপুর পৌরসভা, ডোমসার, শৌলপাড়া, তুলাসার এবং পালং ইউনিয়ন পরিষদকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ১৪নং ওয়ার্ড। যার ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৬৮ জন।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া, মাহমুদপুর, বিনোদপুর আংগারিয়া এবং চিকন্দীকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ১৫নং ওয়ার্ড। যার ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৬৫ জন। মোট ৯৪১ জন ভোটার এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালু বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনমুখী দল। আমরা সব সময়ই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। কেন্দ্রীয়ভাবে যদি জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত আসে তাহলে আমারা নির্বাচনে অংশ নেব। সেক্ষেত্রে দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ নেব। এ মূহূর্তে দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ নেই।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয়ভাবে আমাকে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে আমি নির্বাচন করবো। দলের বাইরে চিন্তা করার সুযোগ নেই।

বর্তমান গভর্নর মাস্টার মজিবর রহমান বলেন, আমি গভর্নর থাকাকালীন সময় অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে দল আবার আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আশা করছি।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: