facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৭ জুলাই শনিবার, ২০২৪

Walton

আবাসন খাত নিয়ে ২৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা


২২ নভেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার, ০৫:৩৫  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


আবাসন খাত নিয়ে ২৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা

দেশের একটি গুণগত সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পরিবর্তন হচ্ছে। আগামী ২৫ বছরে তথা ২০৪১ সাল হবে উন্নত দেশ গড়ার টার্গেটের বছর। সে সময়টি হবে এদেশকে বর্তমানের সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশ দেখার পর্যায়। এখন ঢাকার সর্বোচ্চ ভবন ২০ থেকে ২৫ তলা পর্যন্ত আছে যা তখন হবে ৬০ থেকে ৭০ তলা। তার মাঝে থাকবে ডজনেরও ওপর শত তলা বা তার উপরে তৈরি ভবন। তখন হয়তো ম্যানহাটনের দৃশ্য দেখতে আমাদের পূর্বাচল যেতে হবে। ঢাকা তখন হবে মেট্রোনির্ভর শহর। আবাসন শিল্পকে নিয়ে আগামী ২৫ বছরের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরতে গিয়ে এসব তথ্য জানান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন। রাজধানীর একটি হোটেলে রিহ্যাবের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিহ্যাব সভাপতি বলেন, এদেশের বিশাল শ্রমশক্তির পুঞ্জীভূত সম্পদ বাংলাদেশকে এক অভাবিত দেশ তৈরি করবে যে দেশে পুরো থাকবে আইনের শাসন। তখন রাজউককে আর ভবনের কোনো অংশ ভাঙার অভিযানে নামতে হবে না। তখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে ভবন নির্মাণ কেউ করবে না। সবাই রিহ্যাব সদস্য বা কোনো যোগ্য ঠিকাদার দিয়ে ভবন নির্মাণ করবে। ঢাকা ছাড়াও বিশাল শহর হিসেবে গড়ে উঠবে চিটাগাং, সিলেট, কুমিল্লা, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, বগুড়া, রংপুর ও ময়মনসিংহ। ২০৪১ সালে নগরগুলোতে ৪০ শতাংশের বেশি জনসংখ্যার বাস হবে। সব জেলা শহরে ১০ তলার বেশি উঁচু ভবন তৈরি হবে। বড় নগরীগুলোতে ৯০ শতাংশ লোকই ফ্ল্যাট বাড়িতে বসবাস করবে নানাবিধ কমন সুবিধা ভোগ করে। এখন থেকে তার আগ পর্যন্ত রিহ্যাব সদস্যরা অন্তত ১০ লাখ ফ্ল্যাট তৈরি করে সরবরাহ দেবে। এর একটি বড় অংশ তৈরি হবে পূর্বাচল স্যাটেলাইট সিটিতে। সেখানে হবে একটি বড় বাণিজ্যিক নগরী। ২০২০ সাল থেকে চাহিদার চেয়ে ফ্ল্যাট নির্মাণ কম হবে, তথা চাহিদা এখনকার চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। পুরো আশুলিয়া এলাকা হবে শিল্পশহর। তিনি বলেন, এ রকম একটি স্বপ্ন ও লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে আমরা সুবর্ণজয়ন্তীতে যাত্রা শুরু করব।

রিহ্যাব সভাপতি বলেন, রিহ্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তৈরি করা বিল্ডিং বা ভবনগুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি টেকসই মজবুত। এখন পর্যন্ত আমাদের রিহ্যাব সদস্য ডেভেলপার কর্তৃক নির্মিত কোনো ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন নজির নেই। রিহ্যাব সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়াও প্রায় দেড় হাজার ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা আমাদের নজরের বাইরে। রিহ্যাব সদস্যভুক্ত না হওয়ায় এসব ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের সঙ্গে নানা ধরনের প্রতারণা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষায় আমরা এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় সতর্কতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছি। আগামীতেও আমাদের এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। কেউ যাতে রিহ্যাব সদস্যপদ নেওয়া ছাড়া ব্যবসা করতে না পারে সে আইন তৈরির জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, আমরা শুধু আবাসন সরবরাহই করি না। ক্রেতারা যাতে এক ছাদের নিচে যাচাই-বাছাই করে তার স্বপ্নের ফ্ল্যাট বা প্লট কিনতে পারে তার জন্য প্রতিবছর হাউজিং ফেয়ারের আয়োজন করছি।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: