শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শাশা ডেনিমস পিএলসি ঘোড়াশাল ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) উন্নয়ন প্রকল্পে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবকাঠামো খাতে নতুন করে পদচারণা শুরু করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, একটি যৌথ উদ্যোগ চুক্তির আওতায় কোম্পানিটি এই প্রকল্পের কাজ লাভ করেছে, যা নরসিংদীর ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পটি ডিজাইন, নির্মাণ, অর্থায়ন, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও হস্তান্তর (ডিবিএফওএমটি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে। এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে। এ লক্ষ্যে একটি নতুন কোম্পানি গঠন করা হবে, যেখানে শাশা ডেনিমস ও তাদের অংশীদারদের শেয়ারধারণের কাঠামো নির্ধারণ করা হবে। লেটার অব অ্যাওয়ার্ড (এলওএ)–এর সব শর্ত পূরণ হলে নতুন কোম্পানিটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ কনটেইনার কোম্পানি লিমিটেড (সিসিবিএল)–এর সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করবে।
আর্থিক চিত্রে দেখা যায়, চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) শাশা ডেনিমসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ পয়সা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪০ পয়সা। পাশাপাশি, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ১৫ পয়সা।
সর্বশেষ ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ওই অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫৭ পয়সা, আর এনএভিপিএস ছিল ৪১ টাকা ৮৪ পয়সা।
২০১৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া শাশা ডেনিমসের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৪১ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের সংখ্যা ১৪ কোটি ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৯১০। শেয়ার ধারণের হিসাবে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪৪ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ০ দশমিক ০১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার।
সব মিলিয়ে, ঘোড়াশাল আইসিডি প্রকল্পে অংশগ্রহণ শাশা ডেনিমসের ব্যবসায়িক বৈচিত্র্য বাড়ানোর পাশাপাশি ভবিষ্যৎ আয়ধারায় নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।
























