দেশের শেয়ারবাজারে পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ের অভাব দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। প্রায় প্রতিদিনই বাজারে ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে—একদিন সূচক বাড়লেও পরদিন বা দু’দিনের মধ্যে আবার পতন। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি একটি প্রভাবশালী সুযোগসন্ধানী চক্র কাজে লাগাচ্ছে। নিজেদের স্বার্থে তারা বাজারকে উপরে তুলছে বা নিচে নামাচ্ছে, যার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সক্রিয় তদারকির স্পষ্ট কোনো লক্ষণ নেই, বরং বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও নড়বড়ে হচ্ছে। তাদের মতে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ এবং শক্তিশালী মনিটরিংই বাজারকে স্থিতিশীল করতে পারে।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩.৪২ পয়েন্ট কমে ৪,৯২৭.৪৯ পয়েন্টে অবস্থান করেছে। অন্যান্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৪.৮২ পয়েন্ট কমে ১,০৩৪.৩৯ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭.৯৬ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে ১,৮৯৮.৩০-এ পৌঁছেছে।
এদিন ডিএসইতে ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়, যার মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৩টির, কমেছে ২৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৫টির। লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় ২৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বেশি।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৪ লাখ টাকা, আগের দিনে যা ছিল ১২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। সিএসইতে ১৮১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭১টির দর বেড়েছে, ৮৪টির কমেছে এবং ২৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন সিএসইর সূচক সিএএসপিআই ১০.৬৫ পয়েন্ট কমে ১৩,৮৪০.৫০-এ অবস্থান করেছে।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিয়ন্ত্রক উদাসীনতা বজায় থাকলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি বাড়বে এবং বাজার স্থিতিশীলতা ফিরে পাবে না।
























