তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) লাভে ফিরলেও, বছরজুড়ে উৎপাদন খরচ ও আর্থিক ব্যয়ের চাপ কাটিয়ে উঠতে পারেনি কোম্পানিটি। এর ফলে প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর) কোম্পানির পুঞ্জীভূত লোকসান দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
কোম্পানির প্রকাশিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, তৃতীয় প্রান্তিকে আরএকে সিরামিকস ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। এই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬ পয়সা।
তবে বছরের প্রথম নয় মাসে লোকসান দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। সে সময় শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৩৫ পয়সা।
বিক্রয় বেড়েছে, তবু লোকসান বাড়ল কেন
প্রথম নয় মাসে কোম্পানির বিক্রয় বেড়েছে ১৪ শতাংশ, যা দাঁড়িয়েছে ৫১৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। কিন্তু কাঁচামাল, উৎপাদন ও আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মুনাফা টেকেনি।
• বিক্রয় ব্যয় বৃদ্ধি: মোট বিক্রয়ের বিপরীতে বিক্রয় ব্যয়ের অনুপাত ৮৪ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৮১.৭১ শতাংশ। এ সময় মোট বিক্রয় ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৪৩৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
• আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধি: কোম্পানির আর্থিক ব্যয় ৪৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি টাকা।
প্রথম দুই প্রান্তিকেই বড় ধাক্কা
২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি–জুন) কোম্পানিটির নিট লোকসান ছিল ২১ কোটি ৪ লাখ টাকা।এর মধ্যে —
• প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি–মার্চ): লোকসান ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা
• দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল–জুন): লোকসান ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা
এই বড় দুই প্রান্তিকের লোকসানই তৃতীয় প্রান্তিকের মুনাফাকে ছাপিয়ে গেছে, ফলে সামগ্রিক ফলাফল এখনো ঋণাত্মক।
ক্যাশ ফ্লো ও সম্পদ মূল্য
তবে নয় মাসে কোম্পানির নগদ প্রবাহে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
• প্রতি শেয়ার নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (NOCFPS): ৩৪ পয়সা (২০২৪ সালে ঋণাত্মক ৩৭ পয়সা)
• প্রতি শেয়ার নিট সম্পদমূল্য (NAVPS): ১৫ টাকা ৭৯ পয়সা (৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত)
অতীত ও বর্তমান অবস্থা
২০২৪ অর্থবছরে আরএকে সিরামিকস ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা লোকসান সত্ত্বেও ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। বর্তমানে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানির শেয়ারদর ১.৩০ শতাংশ বেড়ে প্রতি শেয়ার ২৩ টাকা ৪০ পয়সায় ক্লোজ হয়।
























