ঢাকা   শনিবার ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২

বিক্রি বেড়েছে, তবু সিঙ্গারের ক্ষতি ১১৪ কোটি টাকা

শেয়ারবাজার

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:২২, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

বিক্রি বেড়েছে, তবু সিঙ্গারের ক্ষতি ১১৪ কোটি টাকা

দেশের প্রকৌশল খাতের অন্যতম বহুজাতিক কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড চলতি ২০২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছে। বিক্রি বেড়েও কোম্পানিটি প্রায় ১১৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার নিট লোকসান করেছে।

কোম্পানির চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।


প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে সিঙ্গার বাংলাদেশের বিক্রি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিক্রি বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।

তবে বিক্রি বাড়লেও লাভের বদলে এসেছে লোকসান। আগের বছরে যেখানে কোম্পানিটি ৫ কোটি ৫ লাখ টাকার নিট মুনাফা করেছিল, সেখানে এবার ক্ষতি হয়েছে ১১৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

এই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৪২ পয়সা, যেখানে আগের বছর শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৫১ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩৯ পয়সা।

সিঙ্গারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উৎপাদন ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেলেও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে পণ্যের দাম বাড়ানো সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি নানা ছাড়, অফার ও প্রচারণা কার্যক্রমের কারণে ব্যয় বেড়েছে। এর সঙ্গে পরিচালন ব্যয় ও সুদের খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে কোম্পানিটিকে লোকসানে ফেলেছে।


তবে কোম্পানির আশা, নতুন কারখানা চালু হলে উৎপাদন সক্ষমতা তিন গুণ বৃদ্ধি পাবে। এতে ব্যয় কমবে এবং আগামী বছরগুলোয় সিঙ্গার আবারও লাভজনক অবস্থায় ফিরবে বলে তারা আশাবাদী।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরে সিঙ্গার বাংলাদেশ ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। সে বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৪ টাকা ৯১ পয়সা, যেখানে আগের বছর শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৫ টাকা ২৪ পয়সা।

কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৫৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

মোট শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৯৭ লাখ ২ হাজার ৮৩৮টি, যার মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৭ শতাংশ শেয়ার। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৯.৯১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৩.০৯ শতাংশ শেয়ার।