ঢাকা   বুধবার ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২

ডিএসইর জিএম (ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস) পদে দায়িত্ব পেলেন বেনী আমিন”

ডিএসইর জিএম (ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস) পদে দায়িত্ব পেলেন বেনী আমিন”

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার প্রতিষ্ঠান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এর ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে যোগ দিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাংকার ও অডিট বিশেষজ্ঞ বেনী আমিন, এফসিসিএ, সিআইএ। সোমবার (২১ অক্টোবর) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

ডিএসইতে যোগদানের আগে তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ-এর সিনিয়র অডিট ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ ১৯ বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই পেশাজীবী সাধারণ ব্যাংকিং, ট্রেজারি, ট্রেড ও ক্যাশ অপারেশন, ফাইন্যান্স এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কার্যক্রমে দক্ষতা অর্জন করেছেন।

বেনী আমিন অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউন্ট্যান্টস (ACCA), যুক্তরাজ্য-এর ফেলো সদস্য। পাশাপাশি তিনি সার্টিফাইড ইন্টারনাল অডিটর (CIA), যুক্তরাষ্ট্র এবং সার্টিফাইড অ্যান্টি মানি লন্ডারিং স্পেশালিস্ট (CAMS) হিসেবে স্বীকৃত।

অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় অসামান্য নেতৃত্ব প্রদর্শনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অক্টোবর ২০২১ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি হেড অব অডিট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নতুন অডিট সফটওয়্যার বাস্তবায়নে অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি ACE Alliance–FICA টিমের সদস্য হিসেবে GIA STAR Award 2021 লাভ করেন। এছাড়া, তিনি ২০১৯ থেকে ২০২০ মেয়াদে গ্লোবাল ইন্টারনাল অডিট ম্যানেজমেন্ট টিমের অতিথি সদস্য হিসেবে মনোনীত হন।

আন্তর্জাতিক অডিট প্রকল্পের অংশ হিসেবে বেনী আমিন ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে সফলভাবে কাজ করেছেন। ডিএসইতে যোগদানের আগে তিনি আরও দুটি শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন— ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডে সিনিয়র অডিট ম্যানেজার (এভিপি) এবং এইচএসবিসি ব্যাংকে ফাইন্যান্স ম্যানেজার (এভিপি) ও ট্রেজারি অপারেশনস অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ে বিবিএ এবং ফিন্যান্সে এমবিএ ডিগ্রি অর্জনকারী বেনী আমিন কৌশলগত চিন্তাশক্তি, নেতৃত্বের দক্ষতা এবং বহুজাতিক পরিবেশে কাজের অভিজ্ঞতার জন্য পেশাজীবী মহলে প্রশংসিত। ডিএসইতে তার যোগদান প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।